এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিজেপির নবান্ন অভিযানে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের ঘুম ওড়াতে আসরে মমতার পুলিশ

বিজেপির নবান্ন অভিযানে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের ঘুম ওড়াতে আসরে মমতার পুলিশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি তৃণমূল সংঘাত নিয়ে রাজ্য রাজনীতি কার্যত উত্তাল হয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে একের পর এক অসন্তোষে জেরবার মানুষ। রাজনীতিবিদের মতে, বিজেপির নবান্ন অভিযান দিয়েই মূলত রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাকি তারই একটি রূপ প্রকাশ পেয়েছে। ফলে ২১শের ভোটের চিত্র নিয়ে এখন থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার কার্যত রাজ্যে তাণ্ডব চলতে দেখা গেছে। যদিও এখানে বিজেপির অভিযোগ যে, এসবই নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য সরকারের তরফে করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলও পাল্টা আক্রমণে ছাড়েনি। ঠিক কি হয়েছিল এদিন? বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে প্রথম গন্ডগোল শুরু হয় সাঁতরাগাছিতে। সেখানে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাদের থামাতে রং মেশানো জল স্প্রে করে পুলিশকর্মীরা। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন। অন্যদিকে বারবার দফায় দফায় জিটি রোড, হাওড়া ময়দান এবং হাওড়া ব্রিজেও তৈরি হয় অশান্তি। সেইসময় হাওড়া ময়দানে গন্ডগোল চলাকালীন পুলিশ এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে সেই সময়ই তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। আর এরপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, শোনা যায়, বিজেপির মিছিলকারীর কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই অশান্তি বাড়তে থাকে। যদিও বিজেপির তরফে প্রথমে দাবি করা হয়েছিল যে এসবই তৃণমূলের চক্রান্ত। পরে অবশ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন যে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স রয়েছে। সৌমিত্র খাঁরও প্রায় একই দাবি করেন। তিনি বলেন যে ধৃত বলবিন্দর সিং আদতে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার বাসিন্দা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াংগুর দেহরক্ষীও। তাই একজন দেহরক্ষীর কাছে বন্দুক থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। তাই রাজ্য সরকারের দেহরক্ষীর কাছে বন্দুক থাকা নিয়ে কার্যত ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ তোলেন তিনি।

তবে পরে এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের কথায়, এই পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকই। তবে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসকের দপ্তর থেকে ওই অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যেহেতু অস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। তাই সেক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওই বন্দুকটি হাওড়ায় নিয়ে আসাটাই বেআইনি, সে যে কেউই হোক না কেন। তাই নবান্ন অভিযানে স্রেফ অশান্তি সৃষ্টি করতেই বলবিন্দর অস্ত্র হাতে মিছিলে উপস্থিত ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করছে বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!