এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে প্রভাবশালী নেতাদের দুর্নীতি! অনুব্রতর সামনেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন বুথ সভাপতি!

তৃণমূলে প্রভাবশালী নেতাদের দুর্নীতি! অনুব্রতর সামনেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন বুথ সভাপতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন দলের দুর্নীতি বন্ধ করতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যেমন এই ব্যাপারে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই বহু আগেই বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে কেউ যাতে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তার জন্য কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃনমূলের এক বুথ সভাপতি।

সূত্রের খবর, শুক্রবার তিলপাড়া পঞ্চায়েতের হুসনাবাদ সংসদের বুথ সভাপতি শেখ জসিমউদ্দিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন। যেখানে তার মূল অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত প্রধান, সিউড়ি 1 পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং দলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে।

জানা যায়, এদিন তৃণমূলের সেই বুথ সভাপতি বলেন, “প্রধান নিজে আবাস যোজনার ঘর পেয়ে দোতলা বাড়িতে বাস করছেন। এমনকি লোককে সেই ঘর ভাড়া দিয়েছেন। অথচ এলাকার অনেক গরিব মানুষ আবাস যোজনার ঘর পাননি। অঞ্চল সভাপতি ঘর পেয়ে সেখানে দোকান করেছেন। সিউড়ি 1 পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবাস যোজনার ঘর পেয়ে সেখানে সিমেন্টের গুদাম বানিয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর অনুব্রত মণ্ডলের সামনে এইভাবে দলেরই বুথ সভাপতি দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অঞ্চল সভাপতির ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সেখানে পাঁচ জনের কমিটি করার নির্দেশ দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সত্যিই কী তাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? বুথ সভাপতি তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করলেন তা কতটা সত্যি?

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রধান বলেন, “কারও নেতা হওয়ার শখ হলে কি করা যাবে!” অন্যদিকে এই ব্যাপারে অঞ্চল সভাপতি বাদশাহ বলেন, “আমাদের কোনো পাকা বাড়ি ছিল না। টিনের চাল, মাটির বাড়ি। এখনও বর্ষায় জল পড়ে। অবস্থার উন্নতি হয়নি। বাবা গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বছর কয়েক আগে 70 হাজার টাকা পেয়েছিলেন। সেটা দিয়ে একটি পাকা ঘর করেছেন। পারিবারিক সূত্র মুদিখানার দোকান সেই ঘরটিতেই চালান। এখানে দুর্নীতি কোথায়! জসিমউদ্দিন দলকে বিপথে পরিচালিত করতে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”

তবে অনেকে বলছেন, জসিমউদ্দিন এই প্রথম এমন অভিযোগ করছেন, তা নয়। এর আগেও একাধিকবার দলের একাধিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এবার অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই রীতিমত বোমা ফাটাতে দেখা গেল তাকে। তবে বুথ সভাপতি এইরকম বিস্ফোরক অভিযোগ করার পর অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে অঞ্চল সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করলেন, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূল কোনোভাবেই দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না। তবে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!