এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে রদবদল: পদ হারাতে চলেছেন বহু প্রভাবশালী নেতা? নীচুতলায় গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উড়বে ঘুম?

তৃণমূলে রদবদল: পদ হারাতে চলেছেন বহু প্রভাবশালী নেতা? নীচুতলায় গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উড়বে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল এখন শৃংখলার ওপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে। আর তাই এতদিন জেলাস্তরের শীর্ষ নেতারা ব্লক এবং শহর কমিটি তৈরি করলেও, এবার রাজ্য স্তর থেকেই সেই নাম ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ জেলার নেতারা আর যে মাতব্বরি করতে পারবেন না, তা নিজেদের পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু রাজ্য থেকে নাম ঠিক করে দেওয়া হলেও, তা নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে ব্যাপক কোন্দলের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

বস্তুত, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূলের ব্লক কমিটির সভাপতি কারা হবেন, কেমন হবে সাংগঠনিক রদবদল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এই দুই জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের বৈঠক হয় যেখানে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আর সেই বৈঠকের পরই জল্পনা ছড়িয়েছে যে খুব দ্রুত এই দুই জেলার সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা হতে পারে।

তবে কমিটি ঘোষণার আগে দুই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে বিস্তর আশঙ্কার পাহাড় জমতে শুরু করেছে। একাংশ বলছেন, কমিটিতে নতুন মুখ আনা হলে পুরনো মুখেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার মাথাচাড়া দিতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে অনেকে বলছেন, যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ব্যাপারটি দেখভাল করছেন, তাই কেউ এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে তা দল বিরোধিতার মধ্যে পড়ে। কেননা দল এবার আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর উদয়ন গুহ বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কোনো বিষয়ে কারও ক্ষোভ হলে তা ক্ষণিকের বিষয়। সবার আগে দল।”এদিকে এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “দলে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনো জায়গা নেই। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের সোর্সে খবর নিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সকলকেই তা মানতে হবে।”

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, কোচবিহার থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ার, এই দুই জেলাতেই তৃণমূলের ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন জেলা কমিটি থেকে শুরু করে ব্লক এবং শহর কমিটি ঘোষণা করার মধ্যে দিয়ে যদি নতুন কোনো মুখকে নিয়ে আসা হয়, তাহলে পুরোনো মুখদের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। যার ফলে নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্তরে বাড়তে পারে গোষ্ঠী কোন্দল। তাই এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এই দুই জেলার সাংগঠনিক রদবদলের মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কতটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!