এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেত্রী বলেই ‘স্পেশ্যাল’ ছাড়? একাধিক ভাতা বাগিয়ে নেওয়া প্রভাবশালীকে নিয়ে দলেই অসন্তোষ

তৃণমূল নেত্রী বলেই ‘স্পেশ্যাল’ ছাড়? একাধিক ভাতা বাগিয়ে নেওয়া প্রভাবশালীকে নিয়ে দলেই অসন্তোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে স্বজনপোষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের নানা নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কাছের লোকেদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। আর একদিকে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিল্পী ভাতা এবং অন্যদিকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য ভাতা নিতে দেখা যাচ্ছে চন্ডীতলা দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের কাবেরী দাসকে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনা নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

একজন ব্যক্তি কিভাবে সরকারের থেকে দুটি ভাতা নেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জানা যায়, রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্পীদের জন্য যে হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়, তা পান কাবেরী দাস। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে সাম্মানিক 6200 টাকা করেও ভাতা পান তিনি। একাংশের মতে, এই ঘটনাকে স্বজনপোষণ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।

কাবেরীদেবী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। প্রয়োজনে তিনি জনপ্রতিনিধির ভাতা গ্রহণ করতেই পারেন। কিন্তু যেটা মানুষের পরিষেবার মধ্যে পড়ে, সেই শিল্পী ভাতা গ্রহণ করে তিনি কি স্বজনপোষণকে আরও প্রশ্রয় দিচ্ছেন না! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তার জায়গায় যদি অন্য কোনো ব্যক্তি এই শিল্পী ভাতা পেতেন, তাহলে তো তিনি অনেকটা উপকৃত হতেন !

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তা না করে যেভাবে তিনি দুই ক্ষেত্রে এই ভাতার টাকা গ্রহণ করছেন, তাতে বিতর্ক তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। এইভাবে কি আদৌ সরকারি পরিষেবা দেওয়া যায়? এদিন এই প্রসঙ্গে মহাকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক দীপঙ্কর দে বলেন, “আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিধি খতিয়ে দেখছি। সব দেখে আমার মনে হয়েছে একসঙ্গে দুটো সরকারি ভাতা না নেওয়াই সংগত। শিল্পীদের তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবেদন করেছেন।” কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন একসাথে দুটি সরকারি ভাতা এতদিন গ্রহণ করছিলেন কাবেরী দেবী?

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি এই নিয়ম না জেনেই শিল্পীভাতা নিয়েছি। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি, যাতে আমাকে ভাতাপ্রাপক শিল্পীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই আবেদনের রশিদ আমার কাছেও আছে।” তবে কাবেরীদেবী যে কথাই বলুক না কেন, এক ব্যক্তি তথা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি একদিকে নিজের পদের জন্য ভাতা এবং অন্যদিকে শিল্পী ভাতা নেওয়ায় বিরোধীরা যে এই বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তখন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এই রকম ঘটনা নিঃসন্দেহে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!