এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল থেকে বেড়েছে দূরত্ব? এবার শুভেন্দু অনুগামীর থেকে সপাটে চড় খেল পিকে ও তার টিম!

তৃণমূল থেকে বেড়েছে দূরত্ব? এবার শুভেন্দু অনুগামীর থেকে সপাটে চড় খেল পিকে ও তার টিম!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই প্রশান্ত কিশোর একের পর এক নির্দেশ দিতে শুরু করেন। “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলকে জনসংযোগে রাস্তায় হাটার নির্দেশ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের প্রতিটি স্তরের নেতা কর্মী প্রশান্ত কিশোরের এই নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে শুরু করেন। কোথাও কাজে ঢিল পড়লে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে ফোন আসতে শুরু করে সেই সংশ্লিষ্ট নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে।

স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ে তটস্থ হয় যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট না যায়, তার জন্য তড়িঘড়ি সেই নির্দেশ পালন করে সেই সমস্ত নেতা নেত্রীরা। কিন্তু এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর এক অনুগামীকে প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে ফোন করার সাথে সাথেই যে জবাব দিলেন সেই তৃণমূল কর্মী, তাতে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। যেখানে সকলে প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফেই ফোন দিলেই বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছেন, সেখানে পিকের টিমের এক সংস্থার ফোন পেয়ে বিদ্রোহ এবং চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর এক অনুগামীকে।

সূত্রের খবর, দলের এক কর্মসূচি রূপায়নের জন্য সহযোগিতা চেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক তৃণমূল কর্মীকে ফোন করেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের এক সদস্য। যেখানে সেই ফোন পেয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “সহযোগিতা করলে আমরা কি পাব! আমি কি কোনো টাকা পাব? প্রশান্ত কিশোর তো বলেছেন, রাজনীতিকে যদি কর্মক্ষেত্র বানাতে চান, তাহলে যোগ দিন। আমি তাহলে রাজনীতিকে কর্মক্ষেত্র বানাতে চাই।” স্বাভাবিক ভাবেই পূর্ব মেদিনীপুরের মত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে যেভাবে দলের কর্মসূচি রূপায়নের জন্য প্রশান্ত কিশোরের টিমের এক কর্মীর ফোনের উত্তরে রীতিমত চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিলেন এক তৃণমূল কর্মী, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ধীরে ধীরে পূর্ব মেদিনীপুরের মাটি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের টিমের এক কর্মীর মুখের উপর সরাসরি জবাব দিলেন, তাতে দল অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।বস্তুত, তৃণমূলের সকল স্তরের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মত কাজ করলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারী গড়ের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারী সেভাবে সেই নির্দেশ কোনোদিন মানেননি।

সাম্প্রতিক কালে সাংগঠনিকভাবে তিনি দলে কোনো গুরুত্ব না পাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছেন। নিজের মত করে অনুগামীদের দিয়ে পৃথকভাবে কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিকভাবেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকেই বলছেন, তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দলের কর্মসূচি করতে চেয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিমের ফোন যাওয়ার সাথে সাথেই এক তৃণমূল কর্মী বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন, তাতে এর পেছনে শুভেন্দুবাবুর বিদ্রোহী মনোভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সমালোচক মহলের একাংশ।

যদিও মুখ বাঁচাতে পিকের টিমের দাবি উনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুরাগী কিনা জানা যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু গড়ে যে পিকের উত্থান এত সহজে হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না ,হারেহারে টের পাচ্ছেন পিকে। কেননা কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরে পিকের টিমের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল।

তাহলে কি শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে বুঝিয়ে দিলেন যে, প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানতে তারা রাজি নন? যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে তৃণমূল কর্মী এই ধরনের কথা বললেন, তাতে আগামীদিনে দল এখানে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!