তৃণমূলে আসতে চেয়েই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি সাংসদ? শাসকদলের ‘প্রচারে’ মুচকি হাসি জনতার! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই চাপ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিনে তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। পরবর্তীতে সেই মিহিরবাবু বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আর হঠাৎ করেই সেই মিহিরবাবুর বাড়িতে উপস্থিত হতে দেখা যায় কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। যার পরে মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পথ প্রশস্ত করলেন বলে দাবি করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিকে মিহির গোস্বামী বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা করে এক ঘণ্টার বেশি গল্প করলেও, তার পরদিন তার বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে আসা দলের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সেই মিহির গোস্বামীর দেখা পেলেন না। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তবে মিহির গোস্বামীকে নিয়ে যখন বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়ছে, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এল এক নয়া তত্ত্ব। যেখানে একাংশ বলতে শুরু করেছেন, মিহির গোস্বামী বিজেপিতে কোনোমতেই যোগ দিচ্ছেন না। বরঞ্চ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বক্তব্যকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করলে অনেকেই তাকে হাসির খোরাক হিসেবে নিতে শুরু করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে আরও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, এমনটা হওয়া সত্যিই অবাস্তব। কেননা নিশীথ প্রামানিক যদি এখন দলবদল করেন, তাহলে দল বিরোধী আইন এড়াতে গেলে, সারা ভারতবর্ষের বিজেপির 101 জন সাংসদকে বিজেপি ত্যাগ করতে হবে। যা কার্যত অসম্ভব বলেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। সেদিক থেকে নিশীথ প্রামানিক যদি সত্যিই দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাকে যেমন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে, ঠিক তেমনই তাকে আবার নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হবে। আর এখানেই একাংশ বলছেন, যে নিশীথ প্রামানিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন, সেখানে মাঝপথে ভঙ্গ দিয়ে তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে আবার কেন ভোটের সম্মুখীন হতে যাবেন? তাই সেদিক থেকে তৃণমূলের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা যখন নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মিহির গোস্বামীর এই সাক্ষাৎকে অন্য তত্ত্ব দিতে শুরু করেছেন, তখন তাকে “অষ্টম আশ্চর্য” বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে অনেকে আবার বলছেন, রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। কে কখন কোন দলে যাবেন, তা কেউ বলতে পারেন না। সেদিক থেকে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মিহির গোস্বামীর এই কথোপকথন কার রাজনৈতিক দলবদলের জল্পনাকে বাড়িয়ে দিল, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে নিয়ে যে কথা সামনে আনা হচ্ছে, তাতে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। আর এই সমস্ত কিছু দেখে মুচকি হাসছেন বাংলার জনগণ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -