এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে থাকছেন নাকি থাকছেন না, এবার স্পষ্ট করে জানালেন এই ক্ষুব্ধ বিধায়ক, চরছে পারদ!

তৃণমূলে থাকছেন নাকি থাকছেন না, এবার স্পষ্ট করে জানালেন এই ক্ষুব্ধ বিধায়ক, চরছে পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – খাতায়-কলমে তিনি তৃণমূলের বিধায়ক থাকলেও, দলের সঙ্গে ক্রমাগত তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। প্রশান্ত কিশোরের টিম নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি দলের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। মাঝে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তার বৈঠক জল্পনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দেয়। তার পরবর্তী সময় কালে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মন তার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও, তার দেখা পাওয়া সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কার্যত সবার নজরের আড়ালে ছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

যার ফলে তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। অনেকেই দাবি করেছিলেন, তিনি ধীরে ধীরে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছেন। তাই দলের নেতাদের সঙ্গে এখন দূরত্ব বজায় রাখছেন তিনি। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিল, মিহির গোস্বামী তৃণমূলে আছেন এবং তৃণমূলেই থাকবেন। তবে অবশেষে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের এই বিধায়ক। সূত্রের খবর, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আর তৃণমূলে কোনোদিন ফিরবে না বলে জানিয়ে দিলেন মিহিরবাবু। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে।

বস্তুত, এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মিহির গোস্বামী। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দলের এক কর্মীসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন উদয়নবাবু। যেখানে তিনি বলেন, “অনেক খেয়েছেন, আবার খাবেন। তবে এখন ছয় মাস খাওয়া বন্ধ রাখুন। এখন যদি মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে মানুষ আর পরবর্তীতে খাবার সুযোগ দেবে না।” এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মিহির গোস্বামী বলেন, “একজন বিধায়কের মুখে কি এমন কথা মানায়! যারা কর্মীদের দিকে আঙ্গুল তোলেন, তাদের নিজেদের দিকটা দেখা দরকার।”

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কেও এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে মন্তব্য করেন মিহির গোস্বামী। তিনি বলেন, “শুভেন্দুর বাবার শিশির অধিকারীর সঙ্গে আমার 40 বছরের সম্পর্ক। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে, তৃণমূলের অনেকেই সে কথা ভেবেছিলেন। আমি সেটাই বেঁধে দিয়েছি।” অর্থাৎ মিহিরবাবু একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তৃণমূলে ক্ষোভ বিক্ষোভের সংখ্যা কম নেই। কিন্তু তিনি প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দীর্ঘদিনের তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের সিদ্ধান্ত এখন শাসকদলকে যে ক্রমশ সমস্যার সম্মুখীন করল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার কথা তিনি ঘোষণা করলেও, তার পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে! তিনি কি যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে? যেভাবে কিছুদিন আগে নিশীথ প্রামাণিক তার সঙ্গে আলোচনা করে গেছেন, তাতে কি তিনি অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিজেপিতে যোগদান করার! আর তাই এদিন তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি?

তাহলে কি বিজেপিতে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করছেন হেভিওয়েট এই বিধায়ক! এদিন এই প্রসঙ্গে মিহির গোস্বামী বলেন, “অনেকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বাড়িতে এসেছিলেন। তার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। এখনও ঠিক করিনি। মানসিক প্রস্তুতি নিলে জানাব। তবে তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন মিহির গোস্বামীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে অবশেষে সেই প্রশ্নে ইতি টেনে দিলেন এই বিধায়ক।

যেখানে পরিষ্কার ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাবেন না। অর্থাৎ আজ থেকে তৃণমূলের সাথে যে তার কোনো সম্পর্ক নেই, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন মিহিরবাবু। তবে তিনি কোথায় যাবেন, তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে এই তৃণমূল বিধায়কের দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা এখন তৃণমূল নেতৃত্বকে কতটা চাপে ফেলে, সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!