এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল-তৃণমূলে অশান্তি! ভাংচুর-লুটপাটের জেরে এলাকা পুরুষ শূন্য! সামাল দিতে আসরে পুলিশবাহিনী

তৃণমূল-তৃণমূলে অশান্তি! ভাংচুর-লুটপাটের জেরে এলাকা পুরুষ শূন্য! সামাল দিতে আসরে পুলিশবাহিনী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা সামনের বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো একাধিকবার তৃণমূল দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিচ্ছেন। ভোটকুশলী পিকেও বারবার শাসক দলকে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে সাবধান করে দিচ্ছেন। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন তৃণমূল দলে সম্প্রতি একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যা থেকে কিছুতেই রেহাই মিছে না শাসকদলের।

রাজ্যজুড়ে বারবার ঘটে যাওয়া একধিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা শাসকদলের অন্দরের তীব্র অনৈক্য, মতভেদকেই বারবার প্রকাশ্যে এনে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে হুগলি জেলার আরামবাগের হরিণখোলা ও ঘোলতাজপুর গ্রাম। দুটি এলাকাতেই বেশকিছুদিন ধরে চলছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ, ফলে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট দুই এলাকা।

স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে খুব গন্ডগোল চলছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী হরিণখোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আব্দুল আজিজ খান বা লাল্টু ও তাইবুল আলি গোষ্ঠীর। গত বৃহস্পতিবার এই দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজি , সেই সঙ্গে চলে গুলিবর্ষণ। সেদিন সকাল ১০ টার সময়ে লাল্টূু গোষ্ঠীর এক সদস্য ইসরাইল খানের উপরে বোমা নিক্ষেপ করে তাইবুল আলি গোষ্ঠীর সদস্যেরা।

তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় ইসমাইল খানের। তারপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়ায় ব্যাপক মারামারি, বোমা বর্ষণ ও গুলি বিনিময়। শেষপর্যন্ত পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর গত শুক্রবার রাতে লাল্টূু গোষ্ঠীর সদস্যরা তাইবুল গোষ্ঠীর সদস্যদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করতে শুরু করে। এই প্রসঙ্গে কয়েকজন মহিলা এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ” ওই খুনের পর থেকে লাল্টূুর লোকজন আমাদের হুমকি দিতে থাকে। শনিবার সকালে বাড়িতে আসতেই দেখি, ঘরের সবকিছু তছনছ করা। আলমারি ভেঙে লুট করা হয়েছে মূল্যবান সামগ্রী।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মূলত, গত বৃহস্পতিবার ঘোলতাজপুর গ্রামের অধিবাসী তালিবুল গোষ্ঠীর বেশ কিছু সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল বোমা, গুলি নিক্ষেপ সহ ইসরাইল খানকে হত্যার অপরাধে। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছিল এই গ্রামের এলাকা। আর তার সুযোগ নিয়েই লাল্টূু গোষ্ঠীর সদস্যের চড়াও হয় তাইবুল গোষ্ঠীর সদস্যদের বাড়িতে। গত শুক্রবার রাতে ভাংচুর ও লুঠপাট করা হয়েছে তহিবুল গোষ্ঠীর বেশ কিছু সদস্যের বাড়ি। যা নিয়ে এলাকায় আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশ ।

তবে  তাইবুল  গোষ্ঠীর  সদস্য  আব্দুল আজিজ  খান  তাদের  বিরুদ্ধে এই  অভিযোগ  সম্পূর্ণভাবে  নস্যাৎ করেছেন । এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মদ্যপ যুবক গণ্ডগোল করেছে। পারভেজ সাহেব  বলেন, পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।”

অন্যদিকে গতকাল শনিবার ইসরাইল খান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হিদায়েত আলি, শেখ সম্রাট বাবর, শেখ সামসুর রহমান ও ইদ্রিশ আলিকে তোলা হয়েছিল আরামবাগ আদালতে। অভিকুক্তদের মধ্যে হিদায়েত আলীকে ১৪ দিন, বাদবাকিদের ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বোমায় মৃত ইসরাইল খানের দাদা ইসমাইল খান মোট ১৬ জনের নাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার মূল চক্রী তাইবুল আলী ও অন্যান্য অভিযুক্তদের সন্ধান করছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!