তৃণমূলে যোগদান কি এবার দুরূহ হবে? প্রশান্ত কিশোরের নয়া পদক্ষেপে জল্পনা তুঙ্গে! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন বিরোধী দল থেকে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মীকে নিজেদের দিকে আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে সেই কর্মসূচিতে আরও বেশি করে জোর দিতে দেখা গেছে শাসক দলকে। তবে বিরোধী দল ভাঙ্গাতে গিয়ে ব্যাপক বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা বিরোধী দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতাদের বদলে যদি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নেই, এমন নেতাদের শুধুমাত্র বাড়ানোর জন্য শাসক দলে যোগদান করানো হয়, তাহলে মানুষের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তাই এবার জলপাইগুড়ি জেলায় বিরোধী শিবির থেকে নিজেদের দলে যোগদান করার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের পরামর্শের পাশাপাশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিরোধী দল থেকে কারা কারা যোগদান করছে, তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে যারা বিক্ষুব্ধদেদের মত আচরণ করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে জেলা নেতৃত্বের গলায়। অর্থাৎ কোনোভাবেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের বদলে যাতে অন্য কাউকে বিরোধী দল থেকে ভাঙিয়ে এনে নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট না করা হয়, তার ওপর এবার সবথেকে বেশি জোর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি ছেড়ে দলে দলে মানুষ আমাদের দলে নাম লেখাতে চাইছে। আরও বহু লোক দলে আসার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু আমরা ঠিক করেছি, সকলকে দলে নেব না। যারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং প্রকৃত মানুষের জন্য কাজ করতে চান, তাদের দলে নেওয়া হবে। আমরা সবটা খতিয়ে দেখে তবে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিচ্ছি। সব জায়গাতে একই নির্দেশ রয়েছে। উপর মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই দলে নেওয়া হচ্ছে।” এদিকে দলে থেকে যে কোনো রকম বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না, তাও কার্যত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিন তিনি বলেন, “দলে থেকে দল বিরোধী কথা বলা যাবে না। মনে রাখতে হবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। বিজেপি নেতারা ভুলভাল কথা বলছেন। মানুষ ধীরে ধীরে বিজেপি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মেপে পা ফেলছি। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরাই ক্ষমতা ধরে রাখব।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ এতদিন দলবদলকে বেশি পরিমাণে গুরুত্ব দেওয়া হলেও, এবার সেই ভিন দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য যাতে দলকে বিপদে না পড়তে হয়, তার দিকে নজর রাখতে শুরু করেছে শাসক দল।যদিও বা তৃনমূলের এই পদ্ধতিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “তৃনমুল কেউ যেতে চাইছে না তাই ওরা এসব গল্প বলছে। দলে দলে মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। আমাদের সভা-সমাবেশগুলো তার প্রমাণ দিচ্ছে।” তবে কোন দলে বেশি যোগদান হচ্ছে, তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এতদিন শুধুমাত্র দল ভারী করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কর্মী-সমর্থকদের যোগদান করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, এবার এই ব্যাপারে কিছুটা সতর্ক হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ শুধুমাত্র দল ভাঙানো নয়, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নিজেদের দলে আনা এখন প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল নিজেদের এই নীতিতে কতটা স্থির থাকতে পারে এবং এর ফলে বিজেপিকে তারা কতটা চাপে রাখে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -