এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের দ্বন্দ্বে পড়া পোস্টার ছিড়ল পুলিশ, জোর চাঞ্চল্য!

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে পড়া পোস্টার ছিড়ল পুলিশ, জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সংগঠনিক পরিবর্তনের পর হয়ত বা স্বস্তির হাওয়া বইবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের চলার পথে একটা নতুন অসুখ দেখা দিয়েছে। যার নাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলায় জেলায় পুরনো বনাম নতুন নেতাকর্মীদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব সমস্যায় ফেলেছে দলকে। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রায় প্রতিটি জেলাতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে খড়্গপুরেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এর পরেই রবিবার জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা দেবাশিস চৌধুরীর দলীয় কার্যালয়ের বাইরে কিছু পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যেখানে পুরনো কর্মীরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ করা হয়।

অনেকেই দাবি করতে থাকেন খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার জেলার কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেয়েছেন আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই দেবাশিসবাবু অনুগামীরা এই পোস্টার টানিয়ে দিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তৃণমূলের অন্দরমহলে যেমন এই বিষয় নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছিল, ঠিক তেমনই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। আর এবার দেবাশিস চৌধুরীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুরনো নেতাকর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে যে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল, তা পুলিশের পক্ষ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হল।

সূত্রের খবর, রবিবার এই অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা দেবাশীষ চৌধুরী। এদের এই প্রসঙ্গে 19 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি বিশু অধিকারী বলেন, “পুলিশ নিশ্চয়ই কারও নির্দেশে আমাদের ফ্লেক্স ছিড়েছে। এটা যদি রাজ্যের নির্দেশে পুলিশ করে থাকে, তবে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু যদি পেছনের দরজা দিয়ে সিংহাসনে বসা কারও নির্দেশে পুলিশ এসব করে, তবে শেষ দেখে ছাড়ব।” একইভাবে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “পুলিশ যে ফ্লেক্স ছিড়েছে,, সেটাই দেখেছে। কিন্তু পুলিশ এটা করায় আমাদের কর্মীদের ভাবাবেগ আরও বেশি করে মানুষের কাছে প্রচারিত হল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনায় দু’টি দিক খুঁজে পাচ্ছেন। তারা বলছেন, দেবাশিসবাবু এবং তার অনুগামীরা এই ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার যেমন প্রমাণিত হল যে, তারাই এই ফ্লেক্স টাঙ্গিয়েছে, ঠিক তেমনই এটাও বোঝা গেল যে, এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। দেবাশিসবাবু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, তিনি যার দিকে মূল অভিযোগ করেছেন, সেই খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার হয়ত পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে এই ফ্লেক্স ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করছেন দেবাশিসবাবুর অনুগামীরা।

অনেকেরই প্রশ্ন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই ফ্লেক্স পড়েছে। কিন্তু সেখানে পুলিশ কেন নাক গলাবে? তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি যে, সত্যি সত্যিই কি পুলিশ তৃণমূলের কথাতে চলছে? এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহল। যদিও বা এই ব্যাপারে খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “গত বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে আমাদের দলের কিছু লোক শহরে কাজ করেছিল। তারাই এখন বিজেপির ইন্ধনে এসব করছেন। তাদের বৈঠকে আমাদের দলের যদি কোনো নেতা থেকে থাকেন, তবে তা নিয়ে দলের জেলা সভাপতি যা বলার বলবেন।”

কিন্তু যেভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে দায়িত্ব নতুন করে পুনর্গঠন করে দেওয়া হলেও, সমস্যা মিটবে কি? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে শহর সভাপতিকে ওদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের দিকে অভিযোগ করলেন, তাতে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল যেমন প্রকাশ্যে এল, ঠিক তেমনই প্রশাসনও অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়ল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!