এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে ফের মীরজাফর তথ্য, দেওয়াল লিখন কি স্পষ্ট?

তৃণমূলে ফের মীরজাফর তথ্য, দেওয়াল লিখন কি স্পষ্ট?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর তাকে “মীরজাফর” বলে কটাক্ষ করেছিল শাসকদলের ছোট থেকে বড় সমস্ত স্তরের নেতারা। তবে তৃণমূলের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে মুকুল রায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত মীরজাফর কে! তারপর দীর্ঘদিন এই “মীরজাফর” শব্দ নিয়ে চর্চা করতে দেখা যায়নি তৃণমূলের নেতাদের। কিন্তু আবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল সেই মীরজাফর শব্দ।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছেন। নন্দীগ্রাম দিবসের দিন পৃথকভাবে অরাজনৈতিক ব্যানারে তিনি একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেই সভায় উপস্থিত হয়ে “মীরজাফর” শব্দের প্রয়োগ করেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী।

যেখানে তিনি বলেন, “মীরজাফর ছিল, তখনও ছিল, আজকেও আছে। বিশ্বাস মানুষকে করতে হবে। বিশ্বাসের মধ্যে দিয়েই আমাদের যেতে হবে।” আর ফিরহাদ হাকিমের নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রেখে এই ধরনের মন্তব্য যে শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করেই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহলের একাংশ। আর যদি সত্যি সত্যিই ফিরহাদ হাকিম এই মীরজাফর শব্দটি শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ব্যবহার করেন, তাহলে অতীতে মুকুল রায়ের মত শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও কি তৃণমূলের আশঙ্কা রয়েছে, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন‌।

একাংশের মতে, তৃণমূল শীর্ষ মুহূর্তে খুব ভালোভাবেই জানে, এরাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা কতটা। সকলে এটাও বলাবলি করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসে যদি সব থেকে বেশি জনপ্রিয় কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। ফলে তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তার মান ভাঙানোর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না শীর্ষ নেতৃত্বকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নন্দীগ্রাম দিবসে যখন শুভেন্দু অধিকারী পৃথকভাবে সভা করছেন, তখন দলের সভায় উপস্থিত হয়ে যেভাবে মীরজাফর শব্দটি ব্যবহার করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী, তাতে তার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ সৃষ্টি হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সভায় দলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাই তার বক্তব্য দলের বক্তব্য বলেই দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ।

স্বাভাবিক ভাবেই এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মান না ভাঙিয়ে নাম না করে তাকে “মীরজাফর” বলে অপমান করা হল বলে অভিযোগ একাংশের। তাই এবার এই অপমান এবং “মীরজাফর” শব্দকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে চাপে ফেলার মত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিতে পারেন বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সবমিলিয়ে ফের বহু বছর পর তৃণমূলের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল মীরজাফর শব্দ। তবে এবার সত্যি সত্যিই শুভেন্দু অধিকারী দলের কাছে মীরজাফর হয়ে ওঠেন, নাকি আবার দলে সক্রিয় হয়ে প্রমাণ করেন দলীয় আনুগত্য! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!