এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গ্রাম ছাড়া হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা! বিধানসভার আগে বাড়ছে অশান্তি!

নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গ্রাম ছাড়া হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা! বিধানসভার আগে বাড়ছে অশান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অশান্তি। বিগত ছয় মাস ধরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আমতার চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে। আর এই পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ শাসকদলের অন্তর্কোন্দল‌। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফলে প্রধান সহ তিন সদস্য গ্রামছাড়া হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তারা যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের ঘরে ফিরতে না পারে, তাহলে তারা কিভাবে ভোটগ্রহণপর্বে অংশগ্রহণ করবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সকলের। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই গোটা ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তা ভাবনা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বয়ং জনপ্রতিনিধিরা এইভাবে নিজেদের ঘর ছাড়া হয়ে যাওয়ায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে বর্তমানে মোট সদস্য রয়েছেন 11 জন। গত 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলেই তৃণমূলের টিকিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। আর এরপর থেকেই বোর্ড গঠনের পর শুরু হয়ে যায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেখানে প্রধান ফারুক মিদ্দার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামছাড়া হয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধান সহ 7 পঞ্চায়েত সদস্য। জানা যায়, যখন বোর্ড গঠন হয়েছিল, তখন এই ফারুক মিদ্দার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। তাই সেই সময় তার বদলে প্রধান হন শেখ মোশারফ নামে এক ব্যক্তি।

পরবর্তীতে ফারুকবাবু মামলায় জামিন পাওয়ার পর এই শেখ মোশারফ পদত্যাগ করলে আবার ফারুক মিদ্দা প্রধান হন। এদিকে গত ছয় মাস আগে একটি খুনের মামলায় সেই ফারুক মিদ্দার বেশ কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে তারা প্রত্যেকে গ্রামছাড়া হয়ে পড়েন। আর এরপরই ফারুক মিদ্দার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলে গ্রামছাড়া হয়ে যান প্রধান ফারুক মিদ্দা। যার ফলে সেই পঞ্চায়েতে তৈরি হয় অচলাবস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ফারুকবাবুর এক অনুগামী বলেন, “সংশোধিত ভোটার কার্ড এসে পঞ্চায়েতে পড়ে আছে। আনতে যেতে পারছি না। গ্রামে ঢুকলেই খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে না। শেষবারের মত আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব। কাজ না হলে সরাসরি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে চিঠি লিখব। গ্রামে ঢুকতে না পারলে তো আমরা ভোট দিতে পারব না।” কিন্তু কেন এইভাবে প্রধান এবং তার গোষ্টীর লোকজনের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে? কেন তাদেরকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা তথা এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রজব আলী বলেন, “ফারুককে কেউ হুমকি দেননি। তিনি নিজে এত অপকর্ম করেছেন যে গ্রামবাসীরা তদের ঢুকতে দিতে নারাজ। তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে আমাদের কারও কোনো অভিযোগ নেই। তারা গ্রামে আসতেই পারেন।” তবে উপপ্রধান এই কথা বললেও, তা মানতে নারাজ সেই ফারুক মিদ্দা। এদিন তিনি বলেন, “যে গোষ্ঠীর লোকজন আমাদের তাড়িয়েছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

যদিও বা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে. আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে যেভাবে এক গোষ্ঠীর প্রধান থেকে শুরু করে অন্যান্য সদস্যরা কার্যত গ্রামছাড়া, তাতে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে যে তৃণমুলকেই এখন গ্রামছাড়া হতে হচ্ছে, সেই ব্যাপারটি অস্পষ্ট হয়ে গেল সকলের কাছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল সামলে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!