এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে মুকুলের অভাব কি ধীরে ধীরে পূরণ করার চেষ্টা করছেন পিকে? একের পর এক মহা চালে খুশির হাওয়া

তৃণমূলে মুকুলের অভাব কি ধীরে ধীরে পূরণ করার চেষ্টা করছেন পিকে? একের পর এক মহা চালে খুশির হাওয়া


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস নাম হলেও মুকুল রায় সমস্ত দিক সামলাতেন , এই জন্য অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড  বলে অভিহিত করতেন। কোন বুথে পার্টি অফিসের চাবি কার কাছে থাকে, তার সমস্তটাই নিজের নখদর্পণে রাখতেন মুকুল রায়। ভোট পরিচালনা করে থেকে শুরু করে বিরোধী দল ভাঙ্গানো সমস্ত কিছুই সাফল্যতার সঙ্গে করতে দেখা গিয়েছে তাকে।

আর এহেন মুকুল রায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন, তখন রীতিমত আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল। মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেলে তৃণমূলের সমস্ত দিক কে দেখভাল করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। পরবর্তীতে বিজেপিতে চলে যাওয়া মুকুল রায়ের অভাব অনুভব করতে শুরু করে শাসকদল। মুকুলবাবুকে ছাড়া প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ধাক্কা খায় ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে।

তবে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় কালে প্রশান্ত কিশোরকে দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে মেশার জন্য উদ্যোগী হয় শাসক দল। তবে মুকুল রায় অবশ্য দাবি করেছিলেন, তৃণমূলকে আর কেউই বাঁচাতে পারবেন না। 2021 এ পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তবে এবার প্রশান্ত কিশোর নিজের মতো করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বুঝে নিয়ে খেলা ঘোরাতে শুরু করেছেন বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি হোক বা তৃণমূল, যখন যে দলে থেকৈছেন মুকুল রায়, তখন বিরোধী দলকে ভাঙ্গাই তার একমাত্র কাজ ছিল। অর্থাৎ বিরোধী ভোটব্যাংককে নিজেদের দিকে আনাই একমাত্র টার্গেট ছিল বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়ের। আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া মুকুল রায়কে আরও চাপে রাখতে বিরোধী দল ভাঙার জন্য তৃনমূলকে পরামর্শ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 21 শে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, যারা বিরোধী দলে আছেন, তারা যদি চান তাহলে আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন। আর তারপরেই উত্তরবঙ্গের অবিসংবাদিত নেতা বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে আরএসএসের হেভিওয়েট সংগঠক কৃশানু মিত্র তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাই এবার সেই প্রশান্ত কিশোর আরও বেশি করে বিরোধী দলের সংগঠনকে ভেঙে মুকুল রায়ের কারিশমাকে কার্যত মাটিতে মিশিয়ে দিতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই তৃণমূলের একাংশ বলছেন, মুকুল রায় একসময় তৃণমূলে ছিলেন এ কথা সত্য।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তিনি বিখ্যাত হয়েছেন। তাই তাকে ছাড়া দল চলবে না, একথা ভাবাটাই বৃথা। অনেকে বলছেন, আসলে বিজেপিতে থাকা মুকুল রায় এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো জায়গা পাননি। ভবিষ্যতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। তবে সবটাই জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়কে মিথ্যে বলে প্রমাণ করতে প্রশান্ত কিশোর যেভাবে তৃণমূলের দিকে বিরোধী দল ভেঙে আনতে শুরু করেছেন, তাতে তা কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!