এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের নেতা এবার আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে, জল্পনা বাড়ছে ক্রমশ

তৃণমূলের নেতা এবার আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে, জল্পনা বাড়ছে ক্রমশ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সংখ্যালঘুদের সমর্থন কাদের দিকে যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অংক করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকীর মত সংখ্যালঘু নেতা পৃথকভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে যে সংখ্যালঘু ভোট এতদিন তৃণমূলের দিকে ছিল, সেই সংখ্যালঘু ভোট যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে বিজেপি অনেকটাই সুবিধে করে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  আর এই অবস্থায় হরিণঘাটা ব্লকের সহ-সভাপতি আদিবাসী নেতা হিসেবে পরিচিত বরুণ মাহাতোকে দেখা গেল সংখ্যালঘু নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে। যা নিয়ে এখন ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রের খবর, বুধবার আব্বাস সিদ্দিকী হরিণঘাটায় আসেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বরুন মাহাতো। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে এখন তৃণমূলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কিছুদিন আগেই বরুণবাবু দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। কিন্তু তিনি দলের সভায় উপস্থিত না থেকে যেভাবে বিরোধী শক্তির নেতা হিসেবে পরিচিত আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত হলেন, তাতে তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

একাংশ বলছেন, এই বরুণ মাহাতো দীর্ঘদিন ধরেই আদিবাসী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তবে তার সঙ্গে তৃণমূলের খুব একটা বিশেষ সখ্যতা ছিল না। তিনি প্রয়োজন ছাড়া তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যেতেন না। কিন্তু তার সম্মতি ছাড়াই তাকে ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই নিজের ইচ্ছে না থাকায় তিনি ব্লকের তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেও, তাকে সেভাবে তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

আর যে আব্বাস সিদ্দিকী এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েও দলের কর্মসূচি উপস্থিত না হয়ে সেই বরুণবাবু আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে বসে থাকায় এখন তৃণমূল ব্যাপকভাবে চাপে পড়লে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন বরুণবাবু যদি এভাবেই আব্বাস সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন এবং তিনি যদি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকায় যথেষ্ট চাপে পড়বে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা ময়দানে নেমে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন তিনি দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত না হয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বরুণ মাহাতো বলেন, “আমি তৃণমূল করি না। কেন ওরা আমাকে পদ দিয়েছিল, সেটা ওরাই ভাল জানে। আমি আদিবাসী সংগঠন করি। স্বাধীনতার পর থেকে আদিবাসী সমাজকে কোনো দল দেখেনি। এখন আব্বাস সিদ্দিকী এই সমাজের হয়ে কথা বলছেন। ভবিষ্যতে তাকে বিশ্বস্ত মুখ মনে হলে হাত মেলাতে পারি।”

এদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সদস্য মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “তৃণমূল কোনো গ্রহণযোগ্য মুখ পাচ্ছে না। তাই সম্মতি না নিয়ে কমিটিতে নাম রাখছে।” যদিও বা বরুনবাবুর এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর আবির রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “বরুণবাবু যদি আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন, তাহলে ভাবতে হবে তিনি মানসিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছেন। দল খোঁজখবর করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার পরেও যেভাবে এই তৃণমূল নেতা বিরোধী শিবিরের সংখ্যালঘু নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে এক মঞ্চে বসেছেন, তাতে ব্যাপক চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!