এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলে সব সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছেন দিলীপ? বাড়ছে দ্বন্দ্ব, শাসকদলে তীব্র হচ্ছে অস্বস্তি!

তৃনমূলে সব সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছেন দিলীপ? বাড়ছে দ্বন্দ্ব, শাসকদলে তীব্র হচ্ছে অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির কেন্দ্রীয় বৈঠকে যখন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন দলের একাংশ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের অন্দরেও দিলীপ যাদবকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। যেখানে প্রতি জেলায় কোনো না কোনো রদবদল করা হলেও, হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছে দিলীপ যাদবকে। অনেকেই মনে করেছিলেন, তৃণমূলে সাংগঠনিক বৈঠক থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল আনা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিলীপ যাদবের ওপরেই ভরসা লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিকভাবেই যে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের নেতৃত্বেই যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাপাবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এবার হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের নতুন করে সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই দিলীপবাবুর আচরণে সন্তুষ্ট নন। ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীরা একত্রিত হয়ে একটি বৈঠকও করেছেন বলে খবর। যেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা সহ অন্যান্য নেতারা।

তাই দল যখন সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার বার্তা দিচ্ছে, তখন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কেন তারা পৃথকভাবে বৈঠক করলেন? এতে কি দলের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল বলেন, “জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই জেলার অধিকাংশ বিধায়কও আমাকে ফোন করে একই কথা জানিয়েছেন। আমরা আপাতত ধীরে চলো নীতিতে চলব। এটাই বৈঠকে ঠিক হয়েছে। দল জেলায় দুই কো অর্ডিনেটর মনোনীত করেছে। দল পরিচালনায় তাদের ভূমিকা কি হয়, তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “দলের দুই কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা ঠিক কী হতে যাচ্ছে, কিভাবে তারা কাজ করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার।” কিন্তু সাংগঠনিক বৈঠকের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, কেন এভাবে এখনও অসন্তোষ বজায় রয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “আমি দলের অনুগত কর্মী। সবাইকে নিয়েই আমি সংগঠনের কাজ করি। তবে আমার কাজে কেউ কোনো খামতি দেখলে তারা আমাকেই বলতে পারেন।”

কিন্তু দিলীপ যাদব যে কথাই বলুন না কেন জেলার বিধায়করা যেভাবে তার বিরুদ্ধে বৈঠক করতে শুরু করেছেন, তাতে জেলা তৃণমূল সভাপতি অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। এখন তৃণমূল নতুন কমিটি গঠন করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেও, যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে। তাই পরিস্থিতি সামলাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!