করোনা পরিস্থিতিতে এমপিল্যাডের টাকা স্থগিত হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে তৃণমূল থেকে কংগ্রেস! কলকাতা জাতীয় April 7, 2020 করোনা মহামারী ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে কার্যত বিপদজনক দিকে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। ভয়াবহ এই মারন ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ লকডাউন। বর্তমানে গোটা দেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর ফলে ভারতবর্ষের অর্থনীতি যে একেবারে ভেঙে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। এমতাবস্থায় করোনা মহামারীর জন্য ভারতের অর্থনীতি যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে প্রতিটি সাংসদের এমপি ল্যাডের বরাদ্দ দুই বছর বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সাংসদদের বেতন 30% কেটে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখন রীতিমত সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। সূত্রের খবর, সোমবার এই ব্যাপারে একটি টুইট করে তৃণমূল সাংসদ নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সৌগতবাবু বলেন, “দুবছরের জন্য এমপি ল্যাডের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। এতে সরকারের খামখেয়ালিপনা ধরা পড়ছে। এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগণতান্ত্রিক। প্রধানমন্ত্রী কারও সঙ্গে কোনো যুক্তি না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন সাংসদের খরচ করতে হয়। সেই টাকা দেওয়ার কি যুক্তি রয়েছে? সাংসদেরা ইতিমধ্যেই টাকা দিয়েছেন। তারপরেও এই সিদ্ধান্ত কেন!” এদিকে সৌগত রায়ের পথে হেঁটেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। এদিন তিনি একটি টুইট করে বলেন, “এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের ওপর অবিচার করা। এলাকার চাহিদা অনুযায়ী সাংসদরা ওই টাকা খরচ করেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মত মারণ ভাইরাসকে রুখতে এখন সময় রাজনীতির রঙ ভুলে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করা। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই আর্থিক বিপর্যয়ের কথা না ভেবে, যতটা সম্ভব রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। এমনকি, এই কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছে। অথচ, সেখানে হাজির না থেকেও যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে – তা কি সাধারণ মানুষ ভালো ভাবে নেবেন? উত্তরটা হয়ত সময়ই দেবে। আপনার মতামত জানান -