এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই উঠল অপহরণের বিস্ফোরক অভিযোগ! উত্তাল রাজ্য!

প্রভাবশালী নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই উঠল অপহরণের বিস্ফোরক অভিযোগ! উত্তাল রাজ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে দলবদলের পালা ক্রমশ অব্যাহত। তবে সেই দলবদলকে কেন্দ্র করে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এবার মালদহে এই দলবদলকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতে শুরু করল। জানা গেছে, মালদহের ভাবুক পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষীরাম হাঁসদার স্ত্রী মালদহ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

যেখানে তিনি দাবি করেন যে, তার স্বামীকে পিস্তল দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ আরও দুজন ব্যক্তি। জোর করে প্রাণের ভয় দেখিয়ে তাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান লক্ষীরাম হাসদার স্ত্রী সাওরি সোরেন। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এখন ভারতীয় জনতা পার্টি প্রবল চাপে পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে সরব হয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে মালদহ জেলা রাজনীতিতে এই নয়া সমীকরণ নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা গোপাল সাহা মুখ খোলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “জোর করে পঞ্চায়েত দখল করে রাখা যায় না। তৃণমূল জোর করে পঞ্চায়েত দখল করেছিল। তৃণমূলকে এদিন তাদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, “ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানকে প্ররোচিত করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূল তাদের ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। এদিন তারা ভুল বুঝতে পেরে আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। তাদের জোর করে আনা হয়নি।”

তবে তার স্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেও, প্রধান লক্ষীরাম হাঁসদা অবশ্য অন্য যুক্তি দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে কাজ করতে পারছিলাম না। তাই এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে ফিরে এসেছি।” সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা কার্যত নাটকীয় আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। তবে এই ব্যাপারে কি বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের দুলাল সরকার বলেন, “প্রধান নিজের ইচ্ছায় আমাদের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেননি। তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দলীয় পতাকা ধরানো হয়েছে। তার স্ত্রী এই নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপপ্রধান সহ তিনজনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে – দিনের শেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

প্রধানের দলবদল নিয়ে তার স্ত্রী এইরূপ অভিযোগ করলেও এবং তৃণমূল এই ঘটনায় বাড়তি অক্সিজেন পেলেও, প্রধান যেভাবে বিজেপিতে স্বেচ্ছায় যোগদান করেছেন বলে দাবি করলেন, তাতে তার স্ত্রীর অভিযোগ কার্যত মিথ্যে হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত জমজমাট একদা গনি-গড়ের রাজনীতি। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!