বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্যের শিক্ষককূলের ‘মান ভাঙাতে’ আসরে নামতে চলেছে শাসকদল কলকাতা রাজ্য August 23, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে এখন বিজেপিকে টেক্কা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলকে জনসংযোগে পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সমাজের মূল কারিগর শিক্ষকদের নিজেদের দিকে টানতে শুরু করল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আগামী 5 সেপ্টেম্বর শাসকদলের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যবারের মতো এবার আর কোনো ছাত্রদের রাখা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে প্রায় 10 হাজার শিক্ষক নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অংশ নেবেন। যেখানে মূলত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অধ্যাপকরাই উপস্থিত থাকবেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দলের “দিদিকে বলো” কর্মসূচি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। আর সেখানেই এই ব্যাপারে সংগঠনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “এবারের অনুষ্ঠান আর নজরুল মঞ্চে নয়, নেতাজি ইন্ডোরে হচ্ছে। অন্যান্যবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বেশি থাকে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন, শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হোক। আমরা সেই অনুযায়ী এগোচ্ছি। প্রায় 10 হাজার শিক্ষক সেদিন উপস্থিত থাকবেন।” তবে সেরা বিদ্যালয় এবং শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি আগের মতোই হবে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু 5 সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র শিক্ষকদের নিয়ে রাজ্য সরকারের এহেন অনুষ্ঠানের ভাবনা কি জনসংযোগের একটি মাধ্যম! তাহলে কি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষকদেরকে আরও বেশি করে কাছে টানতেই সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে! এদিন এই প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যে জনসংযোগের তত্ত্ব খোঁজারর মানে নেই। শিক্ষকরা সরকারের সঙ্গেই রয়েছেন।” তবে দিব্যেন্দুবাবু যে কথাই বলুন না কেন, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে শিক্ষকদের বকেয়া থাকা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে যেভাবে সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে, তাতে বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব সরকারের বিরুদ্ধে পড়তে পারে। পাশাপাশি শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং বাধা দেওয়া শিক্ষক সমাজকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করেছে। তাই সেই শিক্ষকদের রাগ কমিয়ে তাদের আরও আপন করে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে 5 সেপ্টেম্বর এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে একাংশ। এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষকতা সাধারন চাকরি নয়। এটা সেবার মনোভাব দিয়ে দেখা উচিত। শিক্ষকদের কাজ ছাত্রদের পড়ানো। কিন্তু স্কুল ছেড়ে যেভাবে শিক্ষকরা দিনের পর দিন কোনো একটা ইস্যুতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।” এদিকে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে রাজ্যের শিক্ষকরা ও সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন পোস্টাল ব্যালটে। ফলে, শাসকদল এখন রাজ্যের শিক্ষককূলের মান ভাঙিয়ে কতটা নিজেদের দিকে নিয়ে আস্তে পারে – সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -