এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার কি গদ্দারি হতে পারে? এক পদক্ষেপেই জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী!

আবার কি গদ্দারি হতে পারে? এক পদক্ষেপেই জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী!


২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ – রাজ্য-রাজনীতিতে সবাইকে চমকে দিয়ে একসময় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদত্যাগ করেন। সেদিনই অবশ্য পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুলবাবুকে দল ছেড়ে দেওয়ার পরেও ‘বহিস্কার’ করেন।

এরপর, মুকুল রায় যুযুধান গেরুয়া শিবিরে নিজের নাম লেখান। কিন্তু তিনি নিজে সেখানে গেলেও, তাঁর সঙ্গে কিন্তু সেই অর্থে বড় কোন হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যান নি। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, অনেকের সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ আছে – রাজনীতিতে সঠিক সময় ও সুযোগের ব্যবহার করাই হল বড় কথা।

আর মুকুল রায়ের এই দলত্যাগ নিয়ে প্রথমে তৃণমূল খুব একটা মাথা ঘামাতে না চাইলেও, পরে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন স্বয়ং দলনেত্রী। এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি নাম না করে মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি এই প্রসঙ্গে, তিনি জানান দল ছাড়ার আগে মুকুল রায়কে ত্রিপুরার দায়িত্ত্বে রাখা হয়েছিল – সেই সময়ে কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূলে আসেন। কিন্তু মুকুল রায়ের গদ্দারিতে সেই বিধায়করা বিজেপিতে গিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভিত আলগা করে দেয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, একবছর কেটে গিয়ে আবার অক্টোবর মাস এসে গেছে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে রেখেছেন – আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, দুটো বড় উইকেট জলদিই পড়বে। আর তারমধ্যেই, পঞ্চায়েতে ভালো ফল করানোর পুরস্কার হিসাবে ইতিমধ্যেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন তিনি। ফলে, বিজেপি শিবিরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে শাসকশিবিরে ভাঙন ধরানো নাকি শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

এহেন পরিস্থিতিতে, গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ত্রিপুরার দায়িত্ত্ব থেকে আপাতত বিধাননগরের মেয়র ও দলীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে অব্যাহতি দেওয়া হল। এমনকি এই দায়িত্ত্ব বর্তমানে অন্য কাউকে দেওয়া হল না – তৃণমূল নেত্রী তা স্বয়ং নিজের কাছেই রেখে দিলেন। প্রসঙ্গত, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর তৃণমূল নেত্রী এই দায়িত্ত্ব সাব্যসাচীবাবুকে দেন। কিন্তু সাব্যসাচীবাবু ইতিমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।

আর তাই সবমিলিয়ে, তৃণমূল নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত শোনার পর রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য – আবার অক্টোবর এসে গেছে, আবার কি কেউ ‘গাদ্দারি’ করবে? আর সেই ভয়েই কি তৃণমূল নেত্রী আর কাউকে ত্রিপুরার দায়িত্ত্ব দিতে ভরসা পাচ্ছেন না?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!