এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মদ্যপ অবস্থায় দূর্গা-প্যান্ডেলে ভাংচুরে নেতৃত্ত্ব দিয়ে গণপ্রহার খেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর

মদ্যপ অবস্থায় দূর্গা-প্যান্ডেলে ভাংচুরে নেতৃত্ত্ব দিয়ে গণপ্রহার খেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর

এবারের দুর্গাপূজায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় আশঙ্কা ছিল – বাংলায় না কোন বড় রকমের কোন অসহিষ্ণু ঘটনা ঘটে যায়! কেননা, এর আগের বিভিন্ন বছরের পুজোতে বিসর্জনের দিন নিয়ে দেখা দিয়েছিল বিতর্ক – আর যা নিয়ে রীতিমত রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এ বছরে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে – পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই প্রমাণিত বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে অনেক পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি।

আর সেই ধারাকে ধরে রেখে, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে অন্তত ২২ টি আসন জিততে মরিয়া অমিত শাহরা। সেই লক্ষ্যে, এবার লক্ষ্যণীয় ভাবে পূজামন্ডপে বইয়ের স্টলের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক বৃদ্ধির প্রমান রাখতে মরিয়া ছিল বঙ্গ-বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই, গেরুয়া শিবিরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই – পূজার সৌহার্দ্যের পরিবেশেও রাজনৈতিক লড়াইটা আরও তীক্ষ্ন হবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সেই হিসাবে দেখতে গেলে – সামগ্রিকভাবে পূজার কটা দিন বেশ শান্তিতেই কেটেছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু, ছন্দপতন হল একদম শেষলগ্নে এসে। মহানবমীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় দূর্গা-প্যান্ডেলে ভাংচুরে নেতৃত্ত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতার উপকন্ঠে এক হেভিওয়েট তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আর তার পরিণতিতে – দশমীর বিকেলে এসে জুটল বেদম গণপ্রহার – যা নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত চক্রবর্তী ওরফে টুকাই – মহানবমীর গভীর রাত্রে একদল অনুগামী নিয়ে এসে ভাংচুর চালান স্থানীয় ইয়ংস্টার ক্লাবের পূজা মন্ডপে।

আর এই ঘটনা, প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় – রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল হতেই প্রথমে পুলিশে এফআইআর করা হয় এবং দফায় দফায় কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ চলতে থাকে। কিন্তু, কাউন্সিলরকে বাড়িতে না পেয়ে ক্ষোভ আরো বেড়ে যায় স্থানীয়মহলে – একসময়, রীতিমত পথ অবরোধ শুরু হয়ে যায় আক্রান্ত মন্ডপের সামনে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব স্বয়ং। তাঁকে সামনে পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

এরপরেই, হঠাৎ করে নিজের এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত চক্রবর্তীকে। সারাদিনের ক্ষোভ ততক্ষনে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে। কাউন্সিলরকে হাতের কাছে পেয়েই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় অধিবাসীরা। এমনকি, পিছিয়ে ছিলেন না প্রমীলা বাহিনীরাও। সামনেই এক দেওয়ালে ধরে মাথা ঠুকে দেওয়ায় রাস্তায় পরে যান তৃণমূল কাউন্সিলর। আর এরপরেই মাটিতে ফেলে চলে অবাধে লাথি-ঘুষি-কিল-চড়। গণরোষের সামনে তখন রীতিমত অসহায় লাগে দাপুটে তৃণমূল কাউন্সিলরকে। সারাদিন এই নিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, সন্ধ্যের দিকে তিনি জানান – তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!