এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > দুর্গাপুরে আজ মোদী-ঝড়ের পাল্টা ঘাসফুলের সুনামি দেখাতে শাসকদলের বড় ভরসা হেভিওয়েট তিন মন্ত্রী

দুর্গাপুরে আজ মোদী-ঝড়ের পাল্টা ঘাসফুলের সুনামি দেখাতে শাসকদলের বড় ভরসা হেভিওয়েট তিন মন্ত্রী

লোকসভা ভোটের মুখে মোদীর সভার পাল্টা দিতেই দুর্গাপুরে সভার আয়োজন করল তৃণমূল। এদিন শিল্পশহরে জোড়াফুলের ঝড় তোলার দায়িত্বে রয়েছেন শাসকদলের তিন হেভিওয়েট মন্ত্রী – অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক এবং স্বপন দেবনাথ। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের সমস্ত বিধায়ক এবং জেলার নেতারা মঞ্চে উপস্থিত থাকতে চলেছেন, এমনটাই জানা গেল তৃণমূল সূত্রের খবরে। নরেন্দ্র মোদীর সভার থেকেও অনেক বেশি লোক জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান থেকে লোক এনে মাঠ ভরানো হয়েছিল বলে দাবি শাসকদলের।

কিন্তু এদিনের সভায় শুধুমাত্র দুর্গাপুর মহাকুমার লোক জমায়েত করেই তৃণমূল বিজেপিকে সাংগঠনিক শক্তির জোর দেখিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জকেই সামনে রেখেছে। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, ‘সভায় স্থানীয় কর্মী এবং সমর্থকরা যাবেন। তাতেই মাঠ উপচে পড়বে। আমাদেরকে বিজেপির মতো বাইরে থেকে লোক আনতে হবে না’। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আসন্ন লোকসভা ভোটে এই শিল্পশহর থেকে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে বিজেপি ও তৃণমূলের। তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে কয়েকমাস আগেই। দুই পক্ষই ভোট প্রস্তুতিতে নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে।

বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের এনে দুর্গাপুরে সভা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এসে সভা করে গেলেন। সভা করতে আসছেন ভিন রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরাও। এছাড়া সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ছোট ছোট বৈঠক করা হচ্ছে। মাঝমাঝে দলের সাংগঠনিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করতে আসছে দলীয় পর্যবেক্ষকরা। শিল্পশহরে সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির উদ্যোগে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও। প্রতিটি ওয়ার্ডেই মিছিল করছে শাসকদক। দলীয় রণকৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় মিটিংয়ে বসছেন জেলার নেতারা। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের হেভিওয়েটরা সভা করে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার কাজও করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে নেই বামেরাও। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলার দুটি আসনেই দাপট দেখিয়েছিল তাঁরা। তবে পুরসভা নির্বাচনে সেরকম কামাল দেখাতে পারেনি তারা। সেই হারের পর বামেরা বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিলেও শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বামেদের নিয়ে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। তৃণমূল সূত্রের খবর, শিল্পশহরের শ্রমিক ভোটব্যাঙ্ক নির্বাচনের বাজি পাল্টাতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভোটব্যাঙ্ক যে কোনো রাজনৈতিক দলের ভাগ্য নির্ধারণ করে। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের নেতারাই শাসকদলের জয়ে বাধ সেধেছে বলেই মনে করছেন দলের কর্মীরা।

সেকারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে শ্রমিক সংগঠনের কমিটি গড়তে আপত্তি রয়েছে জেলা নেতৃত্বের। তাই আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান আপাতত কারখানার গেট তদারক করার দায়িত্বে রয়েছেন। তৃণমূলের জেলা কমিটির এক নেতার বক্তব্য, শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি জেলার সমস্ত স্তরের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতেই বিভিন্ন কৌশল করা হচ্ছে। এদিনের তিন মন্ত্রীর সভার পরই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অন্য দলীয় কর্মসূচি করার পরিকল্পনা রয়েছে শাসকদলের। তবে নরেন্দ্র মোদির সভাতে যে পরিমান স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ দেখা গেছে তাতে আজ তিন হেভিওয়েট মন্ত্রীর জনসভা সফল করে আপাতত পাখির চোখ তৃণমূল নেতৃত্বের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!