এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বাংলার বুকে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করে ৩৫-৪০% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল

বাংলার বুকে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করে ৩৫-৪০% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল

বাংলার বুকে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই দেখা যাচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে তারা, কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যতম বড় পদক্ষেপ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এখনো বাকি, তা শেষ হলে সেই সংখ্যাটা যে কোথায় পৌঁছতে পারে তা ভেবেই চোখ কপালে উঠছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত বঙ্গের পঞ্চায়েতের চিত্রটা নিম্নরূপ –

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

জেলা পরিষদ –
মোট আসন – ৮২৫
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী- ১৩০

পঞ্চায়েত সমিতি –
মোট আসন – ৯,২১৭
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী- ২,৩০০

গ্রাম পঞ্চায়েত –
মোট আসন – ৪৮,৬৫০
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী- ১৩,৫০০

অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই মোট আসনের ২৭% বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিসাবে ‘কুখ্যাত’ ছিল ২০০৩, বাম জামানার সেই কঠিন সময়েও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যা ছিল ১১%, এরপরেই আসবে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েতের পরিসংখ্যান, যেখানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের ২০০৩ কে ‘প্রবল লড়াই’ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল ১০.৮৬%, কিন্তু এই দুটি পরিসংখ্যানই মনোনয়ন পর্বে প্রার্থী দিতে না পারা ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর। এবছর মনোনয়ন পর্বেই অঙ্কটা ২৭% ছুঁয়েছে, এরপরে বিরোধীদের অভিযোগ যে সব এলাকায় বিরোধী দলগুলি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছে, তার মধ্যে অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ বাড়ানো শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিরোধী শিবিরের অনেক প্রার্থী, আর এই দাবি প্রতিটি বিরোধী দলেরই। এছাড়া বহু জায়গাতেই শাসকদলের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল ‘গোঁজ’ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন, একটা সুষ্ঠু মীমাংসায় এসে এঁদের অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলেই ধারণা। ফলে সংখ্যাটা শেষপর্যন্ত ৩৫-৪০%-এ গিয়ে ঠেকতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

আর তাই সুজন চক্রবর্তী থেকে স্বামীকে ভট্টাচার্যের মত বিরোধীরা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, একে নির্বাচন বলে নাকি নির্বাচনের নামে প্রহসন বলে! অন্যদিকে অবিচল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বামফ্রন্ট বা বিজেপির রাজ্য জুড়ে সে অর্থে সংগঠন নেই, তাই প্রার্থী দিতে পারে নি। তার জন্য শাসকদলকে শুধু শুধু দোষ দিয়ে লাভ কি? আর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী ছিলেন, তখন সংগঠনের জোরে শাসকদলের সঙ্গে লড়ত তৃণমূল কংগ্রেস, এখনকার বিরোধীদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিরোধী মুখ কোথায়? তার উপরে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জন্য বিরোধীরা লোক খুঁজে পাচ্ছে না, এটাও কি তৃণমূলের দোষ? সবমিলিয়ে শাসকদলের এই ‘পঞ্চায়েতি রাজ’ নিয়ে যখন বিরোধীদের মনে হাজারটা প্রশ্ন, অন্যদিকে তখন ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করে বেশ খোশমেজাজেই শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!