এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নেতার অভাবে দলীয় কর্মসূচীই করতে পারছে না তৃণমূল, ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয়ে কর্মীরাই

নেতার অভাবে দলীয় কর্মসূচীই করতে পারছে না তৃণমূল, ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয়ে কর্মীরাই


তৃণমূলের এখনও যে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটেনি, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। জানা গেছে, প্রায় দুমাস ধরে পুরশুড়ায় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদ শূন্য রয়েছে। আর এই দলীয় সভাপতি না হওয়ায় কোনো কর্মসূচি পালন করা যাচ্ছে না। যার জন্য এখন সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন – কে এই ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন! বস্তুত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই পুরশুড়া বিধানসভায় তৃণমূল 25 হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসকদল।

পাশাপাশি এই বিধানসভার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত পুরশুড়া ব্লকের প্রায় সব জায়গাতেই ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। আর এরপরই হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় দিলীপ যাদবকে। যার ফলে সেই জেলা সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনে কিছুটা পরিবর্তন আসবে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ব্লক তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব কাউকে না দেওয়ায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরে। অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতি, যুব বনাম মাদারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় আরও বিপাকে পড়েছে তৃণমূল।

জানা যায়, কিছু বছর আগে তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর নেতৃত্বদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থাতেই রয়েছেন প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়দেব জানা। এদিন এই বিষয়ে তিনি বলেন, “দলে আমাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাই নিজে থেকেই অভিমানে সরে এসেছি। তবে এখনও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শকে মেনে চলি। আগামীদিনে দলের তরফে দায়িত্ব পেলে অবশ্যই নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে পুরশুড়া ব্লক যুব তৃণমূল নেতা খোকন মল্লিক বলেন, “বিধায়কের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে সমস্যা হচ্ছে। তবে পুরনো দিনের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একযোগে লড়াইয়ের ময়দানে আমরা রয়েছি।” তবে এই সংগঠনের বিষয়ে গত 2011 সালের জয়ী পুরশুড়ার বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, “বর্তমানে গোটা বিধানসভাজুড়ে সংগঠন এভাবে চলতে থাকলে 2021 সালের নির্বাচনে ভরাডুবি হবে। দলের তরফে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হলে অবশ্যই দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ময়দানে নামব।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এই পুরশুড়া বিধানসভায় যেভাবে তৃণমূলের যুব এবং মাদার সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে সত্যিই এই বিধানসভা কেন্দ্রে ঘুরে দাঁড়ানো শাসক দলের পক্ষে অত্যন্ত চাপের হয়ে দাঁড়াবে। আর গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে যদি অবিলম্বে পুরশুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে নিয়োগ করা না যায়, তাহলে যে তা নিয়েও বিপাকে পড়তে হবে তৃণমূলকে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত দলের একাংশ। অনেকে বলছেন, দলের অনেকেই এখন গুরুত্ব পাচ্ছেন না। যার ফলে অনেক কর্মীরা ঘরে বসে রয়েছেন।

তাই সেই সমস্ত নেতা-কর্মীদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পুনরায় সংগঠনকে শক্তিশালী করাই তৃণমূলের কাছে এখন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কিন্তু কবে সভাপতি নিয়োগ হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “পুজোর আগেই ব্লকে দলীয় আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি নিয়োগ করে দেওয়া হবে।” তবে সেই সভাপতি নিয়োগের পর দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে সবাই একযোগে আদৌ কাজ করতে পারবেন কিনা, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!