লকডাউন সফল করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হাতে আক্রান্ত ৩ পুলিশ কর্মী! তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্যে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য May 13, 2020 লকডাউনের সময় পুলিশ অতন্দ্রী প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। রাজ্যে লকডাউন যাতে সর্বাত্মক ভাবে সার্থক করা যায়, তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সব সময় ময়দানে রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, তাতে কিছু ব্যাক্তিকে সেই পুলিশের দিকে আক্রমন করতে দেখা গেছে। যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তবে এতদিন কিছু মানুষ পুলিশকে আক্রমণ করলেও, এবার তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল। জানা গেছে, সম্প্রতি লকডাউনকে অমান্য করে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় এক কাপড়ের ব্যাবসায়ী দোকান খুলেছিলেন। জানা যায়, এদিন সেই দোকান বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপরেই দোকান বন্ধ করতে আসা এক এএসআই এবং দুই সিভিক পুলিশকে মারধর করেন ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তৌফিক আহমেদ বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাতেই এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লকডাউনের মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার কথা বলছেন, তখন কেন এভাবে তৃণমূলের একজন পদাধিকারী হয়ে তৌফিকবাবু পুলিশের ওপর হামলা করলেন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচকরা। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সাধারন মানুষের অনেকে না হলে পুলিশ প্রশাসনের ওপর না বুঝে হামলা করছে। কিন্তু খোদ তৃণমূলের নেতা হয়ে এই ধরনের হামলা করা কি সাজে তৌফিক আহমেদের? এমনিতেই বিরোধীরা দাবি করছেন – করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রতি পদেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থ রাজ্য সরকার। আর এবার খোদ তৃণমূল নেতার পুলিশের উপর আক্রমন – সেই ক্ষোভের আগুনে আরও ঘি দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপর হামলার ঘটনায় যেমন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই শাসকদলের ভূমিকাতেও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন বলে দাবি বিরোধীদের। আপনার মতামত জানান -