বাবা-মা বিজেপির হয়ে কাজ করায় ৩ বছরের শিশুকন্যাকে আছাড় মারার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 28, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ এ ৪২ করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জন্যে প্রয়োজনে ‘ধমকে-চমকে’ বা ‘বাঘের বাচ্চার’ মত ভোট করতে প্রকাশ্যেই নির্দেশ তিনি দিয়েছেন প্রিয় ভাই বীরভূমের অনুব্রত মন্ডলকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি, নির্বাচন কমিশন চেয়ে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট ভিডিও। রাজ্যের সুশীলসমাজ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ধমকে-চমকে’ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার নির্দেশ দিতে পারেন? তবে, দলনেত্রীর এই নির্দেশ বোধহয় নতুন করে ‘প্রাণের স্পন্দন’ দিয়েছে তাঁর অনুপ্রাণিত ভায়েদের! কলকাতার এক বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘ধমক-চমকের’ নির্দেশের পরেই মালদায় বাবা-মা বিজেপি করার অপরাধে তিন বছরের শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক বাহুবলি নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনা সামনে আসায় কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে এক মন্ডল সভাপতি দেবাশিস পাসোয়ান ও তাঁর স্ত্রীকে বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্থানীয় ‘বাহুবলি’ নেতা কৃষ্ণ মহলদার প্রকাশ্য বাজারেই আক্রমন করেন। বিজেপি কর্মী ওই স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই প্রচন্ড মারধর করেন ওই তৃণমূল নেতা, তাঁরা তৃণমূল নেতাকে আটকাতে গেলে তাঁদের ৩ বছরের খুদে কন্যা সন্তানকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারেন ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে যায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজার এলাকা। এরপরেই স্থানীয়রা ছুটে এলে তৃণমূলের ওই ‘বাহুবলি’ নেতা কৃষ্ণ মহলদার পালিয়ে যান এলাকা থেকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পরে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগ করা হলে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় স্তরে এই ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনার খোঁজ নেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু, নির্বাচন পরবর্তী এই ‘পাশবিক’ ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর – তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে। আপনার মতামত জানান -