এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তুলকালাম শাসকদলে! দলীয় বিধায়কের অনুগামীদের পিটিয়ে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা

তুলকালাম শাসকদলে! দলীয় বিধায়কের অনুগামীদের পিটিয়ে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা


শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু পেলেই বর্তমানে ময়দানে নেমে পড়ছে বিরোধীরা। ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি থেকে শুরু করে ভয়াবহ দূর্যোগ, নানা বিষয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসই‌। জানা গেছে, এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের 2 নম্বর ব্লকের জোতকমল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।

যার জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2 জুন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আখরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি সামিরুদ্দিন বিশ্বাস এলাকায় একটি কর্মীসভা করছিলেন। আর সেই সময় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপি ঘোষের নেতৃত্বে সেখানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় প্রায় 8 জন তৃনমূল কংগ্রেস কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি গোটা ঘটনায় তৃণমূলের প্রধান বাপি ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে প্রধান বাপি ঘোষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর এই ঘটনায় এবার তৃণমূলের অস্বস্তি যে পরিমাণে বেড়ে গেল, তাতে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমনিতেই বিরোধীদের নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে রয়েছে শাসকদল।

আর তার মধ্যে যদি এভাবে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের ঘর শক্তিশালী করা তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। সেদিক থেকে বিরোধীদের সমস্ত বক্তব্যকে মোকাবিলা করা তো দূর অস্ত, উল্টে নিজেদের ঘর সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে। তাই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের এই ঘটনা এখন তৃণমূলের শৃঙ্খলাকেই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার জন্য সকলকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত থাকছে, তাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চেষ্টা সত্ত্বেও নীচুতলার নেতাদের বনিবনা যে এখনও হয়নি, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এখন সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদের এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!