এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের মঞ্চে এক বিশেষ নেতার উপস্থিতি ঘিরে চূড়ান্ত ক্ষোভ শাসকদলের অন্দরে

একুশের মঞ্চে এক বিশেষ নেতার উপস্থিতি ঘিরে চূড়ান্ত ক্ষোভ শাসকদলের অন্দরে

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক শহীদ দিবসের মঞ্চে সিপিএমের বহিস্কৃত রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ঘিরে ক্ষোভ চরমে উঠেছে শাসকদলের অন্দরেই বলে কলকাতার এক প্রথমসারির ওয়েব পোর্টালের খবরে প্রকাশ। ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের সঙ্গে সঙ্গে ছবিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মাঝখানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এরফলেই নাকি তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক তো বটেই এমনকি প্রথমশ্রেণীর বেশ কিছু মন্ত্রীর মধ্যেও। এক মন্ত্রী নাকি বলেও দিয়েছেন, দলে থেকে তো সব কিছুর প্রতিবাদ করা যায় না, মন না চাইলেও মেনে নিতে হয়। সবারই এক অবস্থা – দিল্লিতে দিদিকে খুনের ছকের মূল মাথার সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে হল বাধ্য হয়ে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দিল্লিতে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বে এসএফআইয়ের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অপর দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অমিত মিত্রকে। দিল্লির এইমসে চিকিৎসা করা হয় তিনজনেরই – তারপরেও রাজ্যের এক বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা রাজ্য জুড়ে তখন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এমনকি তৎকালীন টিএমসিপি সভাপতি শঙ্কুদেব পান্ডার নেতৃত্ত্বে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রক্ত দিয়ে প্রতিবাদপত্র লিখেছিলেন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। গতকাল আমন্ত্রণ পেয়ে শহীদ দিবসে উপস্থিত থাকলেও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঞ্চে বসে থাকতে দেখে নাকি মঞ্চেই ওঠেননি আর শঙ্কুদেব পান্ডা। এমনকি জল্পনা বাড়িয়ে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আপসেট, নো কমেন্টস, শঙ্কু!

ওই পোর্টালের খবর অনুযায়ী তৃণমূলের এক নেতা নাকি বলেছেন, দলের অবস্থা এত খারাপ নয় যে, সিআইডি তদন্ত চলা, সিপিএম থেকে তাড়ানো পাতি নেতাকে একুশে জুলাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে বসাতে হবে! কিন্তু যেহেতু এই নিয়ে সরাসরি নেত্রীকে এই নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না, তাই ক্ষোভ বিনিময় চলছে নিজেদের মধ্যেই। তবে দলের একাধিক শীর্ষনেতার এই উষ্মা নাকি দলনেত্রীর কানেও পৌঁছেছে। আর তাই এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে রাজনৈতিক মহল এখন দেখতে মুখিয়ে আছে, তৃণমূল নেত্রী কিভাবে সামাল দেন ঋতব্রত-অধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!