এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা জীবন বিপন্ন করে লড়াইয়ে আর বিজেপি ইস্যু না পেয়ে কুৎসা করছে! তীব্র আক্রমণ শুরু তৃণমূলের

মমতা জীবন বিপন্ন করে লড়াইয়ে আর বিজেপি ইস্যু না পেয়ে কুৎসা করছে! তীব্র আক্রমণ শুরু তৃণমূলের

করোনা ভাইরাসের মধ্যেও রাজ্যে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিটি সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষয় তুলে ধরে আক্রমণ শানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কখনও রেশনে দুর্নীতি, আবার কখনও বা তথ্য চেপে যাওয়া। যা রাজ্য সরকারকে কিছুটা হলেও চাপে রেখেছে। অর্থাৎ লকডাউন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মত করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে শাসক দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।

আর এহেন পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সেই বিজেপিকে জবাব দিতে ময়দানে নামার প্রক্রিয়া শুরু হল। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্র এদিন বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে “ভয় পেয়েছেন মমতা” বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, তার চরম বিরোধিতা করে এই দুই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “যে মানুষটা নিজের জীবন বিপন্ন করে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে বিজেপি।”

তিনি আরও বলেন, “বিজেপির মানুষকে হেয় করা ছাড়া আর কাজ নেই। বিজেপি শুধু ফেক নিউজ ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ওদের একটা কথাও ঠিক নয়। বিজেপি আসলে ফেক নিউজে পিএইচডি করা একটি পার্টি।” এদিকে দুই তৃণমূল সাংসদ বিজেপিকে কটাক্ষ করে এই ধরনের মন্তব্য করলেও, পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও এই ব্যপারে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এতদিন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনের সারিতে ছিলেন।

কিন্তু গত 9 দিন ধরে কোথায় গেলেন! বাংলা যখন সংকটে, তখন কেন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না! কেন মুখ্যসচিবকে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যাচ্ছে না! কেন স্বরাষ্ট্রসচিব একা এখন সমস্ত কিছু সামলাচ্ছেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা যখন পশ্চিমবাংলায় প্রবেশ করেছিল, ঠিক তখন থেকেই প্রতিনিয়ত বিকেলবেলা সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যেত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমানে করোনা যখন পশ্চিমবঙ্গের চরম আকার ধারণ করেছে, তখন সেভাবে আর সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উল্টে সাংবাদিক বৈঠক করছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন” বলে প্রচার করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যা রাজ্যের শাসক দলকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলেছে।

তাই এমতাবস্থায় যাতে বিজেপির এই প্রচার তৃণমূলকে কাবু করতে না পারে, তার জন্যই এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা ময়দানে নেমে বিজেপিকে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন বিজেপির প্রচার নিয়ে তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। এদিন এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম একটি টুইট করে বলেন, “বিজেপি শুধু ভাট বকে চলেছে। ওদের বাজে কথা বলা ছাড়া কোনো কাজ নেই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, “আগে ওরা বাজে কথা বলার রাজনীতি করেছে। এই করোনা আবহে ফের বাজে কথার রাজনীতিতে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রমাণ করে দিচ্ছে যে বাজে কথা বলেই রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকা যায়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির প্রচার দেখে মনে হয় ওরা সত্য-মিথ্যার পরোয়া করে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করা ওদের কাজ। ভেবেছে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারলেই কেল্লা ফতে। মানুষের অভাব, দুর্দশা, কষ্ট ওদের মনে লাগে না। ওরা শুধু অপপ্রচার করছে। আর আমাদের কাজ করতে হচ্ছে বাংলার জন্য।”

অর্থাৎ বিজেপি যখন করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে দায়ী করছে, ঠিক তখনই ভারতীয় জনতা পার্টি শুধুমাত্র মিথ্যার বেসাতি করে রাজনীতি করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে কবে বাংলা করোনা মুক্ত হয়, তার দিকেই বেশি নজর রয়েছে বাংলার মানুষের। সঙ্গে সকলেই চাইছেন, করোনা মোকাবিলায় জোর দিন শাসক থেকে বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কিন্তু জনতা জনার্দনের এই কথা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কর্ণকুহ্বরে কতটা প্রবেশ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!