এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে হিমশিম তৃণমূল? ম্যারাথন বৈঠকেও হল না সিদ্ধান্ত! বাড়ছে জল্পনা

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে হিমশিম তৃণমূল? ম্যারাথন বৈঠকেও হল না সিদ্ধান্ত! বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি প্রতিটি জেলার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে সেখানকার সভাপতি করা হয়েছে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। এদিকে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার কথা বলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন গৌতম বাবু। আর এবার নয়া জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়ে শুক্রবার সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, এদিন প্রায় ছয় ঘন্টা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস, চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী, ললিতা টিগ্গা, বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল এবং মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। সকাল থেকেই তৃণমূলের এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল বিশেষজ্ঞদের। নানা মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে, এবারের জেলা কমিটিতে ব্যাপক বদল আনা হবে।

শুধু তাই নয়, শুক্রবারের বৈঠক থেকে জেলার বেশকিছু হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে দিনের শেষে সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। উল্টে জেলা কমিটির কথা বলে রাজ্যে সেই তালিকা পাঠানো হবে এমনটাই জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস। পাশাপাশি দলের একাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা নিয়েও তেমন ভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবারের জেলা কমিটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “নতুন জেলা কমিটি নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি শনিবার আমরা আবার বৈঠকে বসব। তারপরে তালিকা রাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্যের অনুমোদন পেলে আমরা নতুন কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করে দেব।”

তিনি আরও বলেন, “কমিটিতে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পৌরসভার চেয়ারম্যানদের রাখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগের বছরের তুলনায় এবার কমিটিতে বেশি সদস্য থাকবেন‌। কাকে বহিষ্কার করা হবে, কাকে দলে রাখা হবে, এনিয়ে আমরা তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। রাজ্যের কাছে এই ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কাজ করা হবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন নেতাকেই আমরা জেলা কমিটিতে রাখব।”

তবে সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি কি জেলায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেও তেমনভাবে কোনো মন্তব্য করেননি গৌতম দাস। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে একসময় অর্পিতা ঘোষকে সভাপতি করা হলেও অর্পিতা দেবীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের নানা আচার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

আর তারপরেই সাম্প্রতিককালে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শঙ্কর চক্রবর্তীকে চেয়ারম্যান করে গৌতম দাসকে সভাপতি করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্ব নেওয়ার পর এবার স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করে জেলা কমিটি গঠনে জোর দিতে দেখা গেল গৌতম দাসকে। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করার যে জল্পনা ছড়িয়েছে, তা কতটা সত্যি হয় এবং জেলা কমিটিতে কতটা চমক থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!