এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলতেই, থানায় অভিযোগ দায়ের শুরু তৃণমূল নেতাদের

করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলতেই, থানায় অভিযোগ দায়ের শুরু তৃণমূল নেতাদের

করোণা মহামারী যখন রাজ্যে চরম আকার ধারণ করেছিল, ঠিক তখনই কেউ ভুল তথ্য বা গুজব ছড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। এমনকি কেউ গুজব ছড়ালে তাদের শাস্তিযোগ্য অপরাধ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগেই এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে। তিনি ভিত্তিহীন কথা বলছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

আর এবার সৌমিত্রবাবুর পর বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বাঁকুড়ার এক তৃণমূল নেতা। কিন্তু কেন হঠাৎ সুভাষবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল? জানা গেছে, গত 13 এপ্রিল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলা অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আর এরপরই সেই মৃতদেহগুলো সেই ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে শশ্মানে সৎকার করে দেওয়া হয়।

যা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। অনেকেই দাবি জানাতে শুরু করেন, আসলে করোনাতেই এই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রশাসন তা আড়ালে রাখতেই চুপিসারে সৎকার করার ব্যবস্থা করেছে। জানা যায়, ফেসবুক লাইভে এসে এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। যেখানে তথ্য গোপনের অভিযোগ করে শাসকদলের বিরুদ্ধে জোর কটাক্ষ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সুভাষবাবুর এই কথাতেই এবার বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছে তৃণমূল। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া থানায় গিয়ে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু যদি বিজেপি সাংসদ ভিত্তিহীন কথা বলেও এবং তা নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তা কেন সঠিক বলে প্রমাণ করছে না প্রশাসন! কেন এভাবে বেছে বেছে বিজেপি সাংসদদের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তাদের মামলার জালে বিদ্ধ করা হচ্ছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এই অবস্থায় বিজেপি সাংসদের ভূমিকা শাস্তিযোগ্য।” অন্যদিকে সুভাষবাবু অবশ্য তৃণমূলের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। তবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নয়। অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই আমি ওইদিন ওই প্রশ্ন তুলেছিলাম।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখন ক্রমশ শাসক-বিরোধী হয়ে যাচ্ছে। মহামারীতে আটকাতে সকলের যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা উচিত, তখন কে কি মন্তব্য করল, তা নিয়ে অপরপক্ষের আপত্তি এবং তাকে কেন্দ্র করে থানা, আদালত, এই সমস্ত ঘটনা যেন বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছে বঙ্গবাসীকে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতেই যেখানে পুলিশ নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে, সেখানে রাজনৈতিক তর্জাতেও পুলিশের কাছে অভিযোগ সাধারণ মানুষ আদৌ কি ভালোভাবে নিচ্ছেন? এই প্রশ্নটাও কিন্তু জোড়ালো ভাবে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!