এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ধান কেনায় দালালরাজ নিয়ে এবার তৃণমূল মহাসচিবের কাছে অভিযোগ দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী বিধায়কদের

ধান কেনায় দালালরাজ নিয়ে এবার তৃণমূল মহাসচিবের কাছে অভিযোগ দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী বিধায়কদের

দেশজুড়ে যখন কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা, ঠিক তখনই এই রাজ্যে সেই কৃষকদেরই ধান কেনা বেচায় দালালরাজের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে সরব হলেন খোদ শাসকদলের হেভিওয়েট মন্ত্রী বিধায়কেরাই। সূত্রের খবর, গত কাল কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সভাগৃহে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ, খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌরীশংকর দত্ত, এলাকার বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ এবং স্থানীয় বিধায়করা। বস্তুত এতদিন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা ধান কেনা নিয়ে যে ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অভিযোগ তুলতেন, এদিন সেই একই অভিযোগ শোনা গেল শাসকদলেরই মন্ত্রী বিধায়কদের গলায়।

সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সভাগৃহের এই বৈঠকে উপস্থিত কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ করেন দালালরাই নাকি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে তা সরকারকে বিক্রি করছে! সত্যজিৎবাবুর কথার প্রতিধ্বনি শোনা যায় আরও দুই হেভিওয়েট বিধায়ক – কালীগঞ্জের হাসানুজ্জামান শেখ এবং পালশিপাড়ার তাপস সাহার গলাতেও। প্রত্যেকেই সরাসরি গ্রামে গিয়ে এই ধান কেনার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। বিধায়কদের পাশাপাশি এই নিয়ে মুখ খোলেন রানাঘাটের তৃনমূল সাংসদ তাপস মন্ডলও বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর খোদ দলের বিধায়কদের মুখ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে ফড়েদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে শোনায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পরে তিনিও সব জেনে, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং স্পষ্ট জানান, চাষিদের যারা ঠকাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, খোদ শাসকদলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের মুখ থেকে দালাল দৌরাত্ম্য সম্পর্কে শোনায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে, গতকালের কর্মসূচি আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে ছিল। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব জানান, শাসকদলে কোন আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এছাড়াও, মানুষের পাশে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়েই সকলকে চলার নির্দেশ তিনি। এমনকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও কড়া বার্তা দেন তিনি বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, নাম না করে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন বিজেপিকে। গেরুয়া শিবিরকে ‘শকুনের’ সঙ্গে তুলনা করা জানিয়ে দেন তারা নাকি উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। আর তাই, আগামীদিনে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!