এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদী-শাহের খাসতালুকই হাতে তুলে দিচ্ছে বড় অস্ত্র? এবার বিজেপির ঘুম ওড়াতে আসরে নামছে তৃণমূল!

মোদী-শাহের খাসতালুকই হাতে তুলে দিচ্ছে বড় অস্ত্র? এবার বিজেপির ঘুম ওড়াতে আসরে নামছে তৃণমূল!


করোনা মহামারী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা কিছুতেই থামছে না। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করোনা আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। যা নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অসুবিধায় ফেলছে।

আর এবার বিজেপির পক্ষ থেকে ঠিক যে ব্যাপারে অসুবিধায় ফেলা হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে, ঠিক সেই ব্যাপারে বিজেপিকে অসুবিধায় ফেলতে তৎপর হল সেই ঘাসফুল শিবির। বস্তুত, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন ডেথ অডিট কমিটি? কেন কো-মর্বিডিটি তত্ত্ব? কিন্তু এবার পাঞ্জাব, দিল্লী, গুজরাট, কর্ণাটক সহ একগুচ্ছ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গেছে, কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবের পাশাপাশি আম আদমি পার্টির দিল্লিতেও এখন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সেই বিজেপি শাসিত গুজরাট এবং কর্নাটকেও এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। আর তাকে হাতিয়ার করেই এখন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘাসফুল শিবিরের প্রশ্ন, যেভাবে এই বিষয় নিয়ে এতদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে, তাতে এখন অন্য রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না কেন? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতৃত্বরা। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “বাংলা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে এবং করোনাকে আটকে দেওয়াই আমাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু মোদী-শাহের কাছে অগ্রাধিকার বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে যুদ্ধ করা।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই গুজরাটে মৃত্যুর হার ‌500 কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গুজরাটে ডাক্তার পাঠাচ্ছে, আর পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে আমাদেরকে বিরক্ত করার জন্য। ওদের মন খুব ছোটো। শুধু ভোট চাইতে আসে, আর রাজনীতি করতে আসে।” একইভাবে এই ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক শান্তনু সেন।

তিনি বলেন, “এখন নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক পদক্ষেপ করেছিল। সবার আগে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষজ্ঞরাই বুঝতে পেরেছিলেন, করোনা পজেটিভ রোগীর মৃত্যু হলে তাদের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে শ্রেণীবিভাজন দরকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৃণমূল সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একসময় অপপ্রচার চালানো হয়েছিল।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন এই বিষয় তুলে ধরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলা হয়েছিল।

তবে এবার পাল্টা অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সেই একই পন্থা প্রয়োগ করায় কেন্দ্র এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে কিছুটা হলেও চাপে ফেলবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে, এখানেই শেষ নয়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – মোদী-শাহের গুজরাটের তথ্য তুলে ধরেই এবার বিজেপিকে পাল্টা তীব্র আক্রমণের পথে হাটবে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!