মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বাড়াতে হবে, এভাবে কথায় কথায় গুলি করা অমানবিক, বিস্ফোরক তৃণমূল মন্ত্রী উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সীমান্তে বিএসএফের উপদ্রব নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিছুদিন আগেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মধ্য বালাভুতে বিএসএফের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। আর এরপরই সেই এলাকায় গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের সুরক্ষা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা রীনা মিত্র, রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কোচবিহারের পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যেখানে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তারা। বস্তুত, গত 9 আগস্ট বিএসএফের গুলিতে শাহিনুল হক নামে বছর কুড়ির এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল এলাকায়। এইভাবে বিএসএফ কেন গুলি চালাচ্ছে, তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাদের চরম বিবাদ তৈরি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এলাকা পরিদর্শন করে এইভাবে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “এলাকায় এক যুবককে বিএসএফ গুলি করলে তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আমরা বিএসএফকে সংযত থাকার আবেদন করেছি। এভাবে কথায় কথায় গুলি করাটা অমানবিক। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়াতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।” রবীন্দ্রনাথবাবু আরও বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটনা ঘটে, তা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে।” সত্যিই তো তাই! এভাবে যদি বিএসএফ গুলি চালাতে শুরু করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, তাহলে তো আইন-শৃঙ্খলা আরও সমস্যার মুখে পড়বে! এদিন এই প্রসঙ্গে বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের ডিআইজি প্রভাকর যোশীও মুখ খোলেন। এদিন তিনি বলেন, “রিনা মিত্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাচার বন্ধ করার বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গত দিনের গুলির প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে সহযোগিতা থাকা দরকার। বিএসএফকে জীবন বাঁচানোর জন্য গুলি চালাতে হয়, সেই বিষয়েও বলা হয়েছে।” তবে যেভাবে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিএসএফের গুলি চালনা নিয়ে সরব হলেন, তাতে এখন পরিস্থিতি কতটা আয়ত্তে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -