এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > হুগলিতে তুলকালাম – তৃণমূলে থেকেও এই বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে আঁতাতে, অভিযোগ শাসকদলের অন্দরেই

হুগলিতে তুলকালাম – তৃণমূলে থেকেও এই বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে আঁতাতে, অভিযোগ শাসকদলের অন্দরেই

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা শাসকদলের ‘আন্ডার কারেন্ট’ বহু আসনের ফলাফল এদিক-ওদিক করে নেবে। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি সেভাবে না বাড়লেও, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরের ভোট শতাংশ বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে পারে। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও – প্রকাশ্যেই তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা দলীয় নেতাদের ‘বার্তা’ দিয়েছেন। এমনকি শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন বহু বিজেপি শীর্ষ নেতাও।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতার এক বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক এক খবর প্রকাশিত হল। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী হুগলি জেলার বলাগড় বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসীম মাঝি শাসকদল থেকেও নাকি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রেখে চলেছেন। আর এই অভিযোগ অন্য কেউ নয় – এসেছে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকেই। ওই সংবাদ থেকে আরও জানা যাচ্ছে, দলনেত্রীর নির্দেশে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য অসীমবাবুকে বারবার ফোন করেও দলীয় নেতারা জেলার বৈঠকে আনতে পারেননি। আর তাই শীর্ষ নেতৃত্বের সামনেই বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রেখে চলার অভিযোগে অসীমবাবুকে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের দাবি ওঠে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব নির্বাচনের আগে আর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে অসীমবাবুকে ওই পদেই রেখে দিয়েছেন। কিন্তু, জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত অহ্বায়ক হিসাবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যামাদাস রায় বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন যে আপাতত যে কোন উপায়ে নির্বাচনে জেতার জন্য রাগ-অভিমান ভুলে দলীয় নেতাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর নির্বাচন মিটে গেলে যাঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে তপনবাবু আরও জানিয়েছেন যে দলীয় কর্মীদের মধ্যে কিছু মনোমালিন্য থাকলেও আলোচনার ভিত্তিতে তা নাকি মিটে গেছে।

কিন্তু, বাস্তব পরিস্থিতি জানাচ্ছে, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চূড়ান্ত নমুনা দেখা যাচ্ছে বলাগড়ে। ঠিকঠাক প্রচার তো দূরের কথা, এখনও বহু জায়গাতেই দেওয়াল লিখনই নাকি শুরু হয় নি। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর পৌঁছেছে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ফলে, তাঁরই নির্দেশে ওই বৈঠকের আয়োজন করেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। সেই বৈঠকে জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, জেলার দুই কার্যকরী সভাপতি অসীমা পাত্র, প্রবীর ঘোষাল ও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলে নি বিধায়ক অসীম মাঝির। এমনকি বৈঠক থেকেই তাঁকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ওঠাননি বলে অভিযোগ। তারপরেই অসীমবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলীয় কর্মীরা জানান, বিধায়ক দলের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপির সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে পঞ্চায়েত তুলে দেওয়ার পর নির্বাচনে তাদেরই দায়িত্ব দিচ্ছে। সবমিলিয়ে আপাতত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তুলকালাম হুগলির বলাগড়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!