বাড়ছে বিজেপি ভোটব্যাঙ্ক, আটকাতে মরিয়া তৃণমূল সাংসদ হোলির দিন নাচবেন ‘রঙ্গ বরসে’ বিশেষ খবর রাজ্য January 27, 2018 রিষড়া মেলায় ‘দম মারো দম’ গনে নাচে পা মিলিয়েছিলেন, আর এবার তৃণমূলের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রঙ্গ বরসে’ গানে নাচতে দেখা যাবে দোলের দিন বলে সূত্রের খবর। তিনি নিজেই দাবি করেছেন রিষড়া মেলায় তাঁর নাচ মন জয় করে ছিল জনসাধারনের, আর তাই জনসাধারনের আবদারেই হোলির দিন নাচবেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ওই মেলায় নাচ দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। রিষড়ায় বহু অবাঙালি মানুষ বাস করেন। মারোয়াড়ি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমাকে হোলির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে নাচ-গান হবে কি না, জানতে চেয়েছিলাম। ওরা হ্যাঁ বলার পর তাঁদের বলি, আমিও সেই বিখ্যাত গান ‘রঙ্গ বরসে’ তে নাচব। আগে ওই সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁর বিরোধী ছিলেন বলে তাঁর দাবি। তবে পাশাপাশি তিনি জানান, এখন ওরা আমার সমর্থক, বাঙুর পার্কের মারোয়াড়িদের আমন্ত্রণে ২ মার্চ হোলির অনুষ্ঠানে যাব। ওঁরা বলেছেন, গানের সঙ্গে নাচও হবে। আমি বলেছি, হোলির গান হলে নাচব। বামেরা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রিষড়ায় বিজেপির শক্তি বেড়েছে। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রায় ২৪ হাজার ভোট পেয়েছিল। প্রধানত বিজেপির অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ককে নিজের দিকে আনতেই করতেই কল্যানবাবুর এমন সিদ্ধান্ত বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। রিষড়া মেলায় তাঁর গায়িকার সাথে নাচের জন্য সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি শাসকদলের দাপুটে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে ওই অনুষ্ঠান তাঁর কাছে “শাপে বর হয়েছে”। তিনি স্পষ্ট জানান, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁরা কি এটা জানেন যে ওই রিষড়া মেলাতেই আমি বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করেছি এবং রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছি। ওই অনুষ্ঠানের পর এলাকায় যারা বিজেপি করতেন, এখন তাঁদের অনেকেই আমার সঙ্গে এসেছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। একটা নাচে বিজেপিকে ভেঙে দিয়েছি। মানুষ যে ভাষা বোঝে, আমি সেই ভাষায় কথাবলি। আপনার মতামত জানান -