এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নারদকান্ডে নিজের যুক্তি সাজিয়ে অবশেষে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেন হেভিওয়েট সাংসদ

নারদকান্ডে নিজের যুক্তি সাজিয়ে অবশেষে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেন হেভিওয়েট সাংসদ


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফাঁস হওয়া নারদ স্টিং অপারেশনের তদন্ত এতদিনে এসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। নারদাকান্ডে প্রথম হিসাবে সম্প্রতি আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়কে। জল্পনা খুব শীঘ্রই নারোদকাণ্ডে চার্জশীট জমা দিতে পারে সিবিআই।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, এবার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। নারদ কাণ্ড সামনে আসার পর, একের পর এক টিভি চ্যানেলে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী-সাংসদরা ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছে টাকা নিচ্ছেন। তখন রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠে গেলেও – তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এটাকে ‘ডক্টরড’ ভিডিও বলে দাবি করা হয়েছিল।

কিন্তু, মির্জার গ্রেপ্তারির পরে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাদের পুনরায় যখন জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক তখনই নিজের মত যুক্তি সাজিয়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেত্রী বলে পরিচিত কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে বারাসাত জেলা হাসপাতালে ব্লাডব্যাংকের উদ্বোধন ও মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আসেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নারদ কাণ্ডে তাকে টাকা নিতে দেখা যাওয়ার ব্যাপারে কাকলিদেবী বলেন, “হ্যাঁ, আমি ওর থেকে চাঁদা নিয়েছি। আমার কাছে সেই রিসিপ্টও রয়েছে। সারা বিশ্বে নির্বাচন করলে সব রাজনৈতিক দলই চাঁদা নেয়। আমি চাঁদা হিসেবে ওই টাকা নিয়েছি। এক থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা অনেকেই দেন। আমি যে চাঁদা নিয়েছি, তা ইলেকশন কমিশনকে ডিক্লেয়ার করেছি।”

কাকলিদেবী আরও জানান, “একটা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তাতে অনেকেই জড়িয়ে পড়েছেন। তদন্তে সঠিকটা বেরিয়ে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি।” আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে, কাকলিদেবীর দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন, তার দল যখনই ভোটের সম্মুখীন হয়, তখন কারও কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয় না। তিনি নিজে ছবি এঁকে টাকা জোগাড় করেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে নিজের দলের সুপ্রিমো কথাকেই কার্যত খণ্ডন করে তার দল যে চাঁদা নেয়, তা স্বীকার করে নিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার! অনেকেই বলছেন, তাহলে কোনটা সত্যি! কার কথা মানুষ বিশ্বাস করবে! নারদা কাণ্ডে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা যে টাকা নিয়েছে, সেই ব্যাপারে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথা, নাকি নির্বাচনে তার দল কোনো টাকা দেয় না, তিনি ছবি এঁকে নির্বাচন করেন, সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা!

সব মিলিয়ে এবার নারদাকান্ডে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে রীতিমতো নিজের দল ও নেত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা, সেই চাঁদা নেওয়া হয়ে থাকলে, তা কোন খাতে খরচ হয়েছে বা তা নেওয়ার জন্য দলের অনুমোদন ছিল কিনা সেইসব প্রশ্নও উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি, এই চাঁদা নেওয়ার কথা সামনে আসতেই দল হিসাবে তৃণমূলের ফান্ডও এবার তদন্তের আওতায় চলে আসতে পারে বলে জল্পনা ছড়াচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!