এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির সঙ্গে একাসনে বসিয়ে তৃণমূলও সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক বোঝাচ্ছে প্রাক্তন জোটসঙ্গী

বিজেপির সঙ্গে একাসনে বসিয়ে তৃণমূলও সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক বোঝাচ্ছে প্রাক্তন জোটসঙ্গী

রাজ্যে যখন বাম জমানার পরিবর্তন ঘটিয়ে ঘাসফুলকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রবল হাওয়া বইতে শুরু করে, তখন বাম বিরোধী ও সম-মনোভাবাপন্ন সমস্ত দলকে এক ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই মহাজোটে স্থান পেয়েছিল এসইউসিআই। তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লোকসভার সাংসদ থেকে রাজ্যের বিধায়ক সবই পেয়েছিল দলটি।

কিন্তু তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের সঙ্গে এসইউসিআইয়ের দূরত্ত্ব বাড়তে বাড়তে কার্যত এখন যুযুধান শিবিরে পরিণত হয়েছে বাম-মনোভাপন্ন দলটি। আর সেকথার প্রমান আবারো পাওয়া গেল তাদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের কন্ঠে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

গতকাল, ধর্মতলায় দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণ দিবসে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন প্রভাসবাবু। তিনি বলেন, তৃণমূল এবং বিজেপি দু’টি দলই সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক – স্রেফ ভোটব্যাঙ্কের জন্য দু’দলই বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে।

তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতাও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০০৫ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধিতা করে এসেছেন। আর ক্ষমতায় আসার পর সেই মমতাই মোয়াজ্জেম ভাতা চালু করেছেন। অন্যদিকে, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির খেলায় মেতেছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকায় এলাকায় গণ কমিটি গড়ে ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে জোরদার জনমত গড়ে তুলতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!