সংসদীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে আরও দুর্বল করতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের! ক্ষোভে ফুটছে ঘাসফুল শিবির কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 30, 2020July 26, 2021 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাটাকে এনেছে ঘাসফুল শিবির। প্রায় প্রতিনিয়ত বিজেপির বিরুদ্ধে পথসভা, আন্দোলন করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিপর্যস্ত করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। আর এই পরিস্থিতিতে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই নেতা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের থেকে পরিবহন, পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের মত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আর যে ঘটনা এখন চরম চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে জাতীয় রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ থেকে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে তিনি বলেন, “এয়ার ইন্ডিয়া থেকে সবকিছু 100% বিক্রি করে দিচ্ছে এরা। রেলকেও বেঁচে দিচ্ছে। এভাবেই একের পর এক শিল্পকে খতম করা হচ্ছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার নেত্রীর সুরেই সুর মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে বলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করে তিনি বলেন, “সব প্রথা ভেঙে তৃণমূলের থেকে সংসদীয় পরিবহন, পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক কমিটির চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নিল সরকার।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল। ওই পদ নিজেদেরই উপহার দিল বিজেপি। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি এবং আরও অনেক ইস্যু রয়েছে। নতুন চেয়ারম্যানের উচিত জরুরি বৈঠক ডাকা।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে তৃণমূল বনাম বিজেপির দ্বৈরথ আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বিজেপিকে শূন্য করে দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি থেকেও নরেন্দ্র মোদিকে হঠানোর ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রত্যাশা ব্যর্থ করে – এখন বাংলার মসনদ থেকেই তৃণমূলকে হঠানোর দিকে জোর দিয়েছে বিজেপি। ফলে দিন দিন দুই দলের দ্বৈরথ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে মোড় নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -