কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে শাসকদল রাজ্য January 22, 2018 কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে শাসকদল শনিবারের এক সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা তৃণমূল মহাসচিব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। এদিন তিনি বলেন, ” কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজ্যের বুথে বুথে তৃণমূলের পথ সভা ওমিছিল হবে।” শুক্রবার পূর্ব রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজ্যের ৮ টি রেল পথের লোকসান দেখিয়ে তা বন্ধ করার লিখিয় নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে। নির্দেশাবলীতে বলা হয় রেল রুট বন্ধ না করলে লোকসানের ৫০ শতাংশ দিতে হবে রাজ্যকে। কেন্দ্রের দেওয়া রুট বন্ধের তালিকায় আছে সোনারপুর-ক্যানিং , বারুইপুর-নামখানা, কল্যানী-কল্যানীসীমান্ত, বর্ধমান-কাটোয়া, ভীমগড়-পলাশথলি, বালিগঞ্জ-বজবজ, বারাসত-হাসনাবাদ, শান্তিপুর-নবদ্বীপঘাট। নবান্ন সুত্রে খবর এক নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রেলমন্ত্রক সুত্রে জানানো হয়েছে যে সব রুটে লোকসন হয় প্রতিবছর রুট তুলে দেওয়ার রুটিন চিঠি রাজ্যকে পাঠানো হয় তবে ইতিমধ্যেই রুট বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে তাতেও সমালোচনা কমেনে এতটুকু। পর্থ বাবু অভিযোগ করেন রাজ্যকে ভাতে মারতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত, তিনি জানান ইতিমধ্যই ৫০ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে সাথে সাথে ৪৯ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র বৈষ্যমের রাজনীতি করছে বলে তাঁর অভিযোগ। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল অন্য কথা বলছে। তাঁদের বক্তব্য, ” বিজেপির যুব মোর্চা ওমহিলা মোর্চার রাজ্যব্যাপী কর্মসূচির পাল্টা হিসাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী হাওয়া জোরালো করতেই পরিকল্পিত ভাবে এইকর্মসূচি পালন। যদিও রাজনীতির বাহিরে সাধারন জনতা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে জোর সমস্যায় পরবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে । সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে সাধারন মানুষের ঠিক কি প্রতিক্রিয়া হবে তা এখনই আঁচ করা দুস্কর। আপনার মতামত জানান -