‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে ‘হৃদকম্প’ তৃণমূল নেত্রীর, দেওয়াল লিখনটা কি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে? কলকাতা বিশেষ খবর মেদিনীপুর রাজ্য May 5, 2019 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – গতকাল বিকেল থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কনভয় নিয়ে যাচ্ছেন (দাবি করা হচ্ছে – চন্দ্রকোনা টাউনের রাধাবল্লভপুর গ্রামের ঘটনা), সেখানে একদল স্থানীয় যুবক একটি বিজেপির ছোট ফ্ল্যাগের নীচে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মত করে ‘জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম’ করে নিজেদের স্লোগান দিচ্ছেন। আর তারপরেই দেখা যায়, তৃণমূল নেত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে রীতিমত তেড়ে যাচ্ছেন ওই যুবকদের দিকে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে যেকথা শোনা যাচ্ছে সেখানে ‘হরিজন’ শব্দের পাশাপাশি তাঁকে রীতিমত রাগী কন্ঠে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কি হল পালাচ্ছিস কেন? আয়, আয়, পালাচ্ছিস কেন? আমাকে গালাগালি দিচ্ছে!’ মাত্র ২২ সেকেন্ডের এই ভিডিও ঘিরেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ওই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা ও শোনা যাচ্ছে কিছ যুবক নিজেদের মত ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছে, যা বিজেপি সমর্থকরা হামেশাই বলে থাকেন। সবথেকে বড় কথা রামচন্দ্র হিন্দুদের পূজিত দেবতা, সুতরাং স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসাবে – প্রকাশ্যে কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতেই পারেন, সরকারের তরফে এখনও এরকম কোনো নির্দেশিকা নেই – যে ওই শব্দবন্ধ ভরতবর্ষে ‘ব্যানড’! তাহলে কেন এত রেগে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? কেন গাড়ি থামিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে একদল যুবকের দিকে তেড়ে যেতে হল? তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু সমর্থকের দাবী, সমগ্র ঘটনাটি বিজেপির চক্রান্ত! ভিডিওর ওই অংশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়েছে, পুরো ভিডিও দেখলে বোঝা যাবে, তৃণমূল নেত্রীকে নাকি সত্যিই গালাগালি করা হচ্ছিল! কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয়, এই সংক্রান্ত কোনো ‘পুরো ভিডিও’ তৃণমূলের তরফে কোথাও প্রকাশ করা হয় নি – যেখানে তাঁদের এই যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়! ফলে, সাধারণ মানুষের মনে কিন্তু এই প্রশ্নটাই ঘুরছে – বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ বলাটা কি এখন গালাগালির মধ্যে পড়ে? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক তরুণ দাপুটে নেতার বক্তব্য, আসলে তৃণমূল নেত্রীর কাছে দেওয়াল লিখনটা এখন স্পষ্ট! রাজ্যের চার দফার নির্বাচন হয়ে গেছে এবং ওই ১৮ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল খুব বেশি হলে ১-২ টি আসন পাবে! তৃণমূল নেতৃত্ব যতই ৪২ এ ৪২ বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুক না কেন, ২৩ শে মে ফল বেরোলেই দেখা যাবে তৃণমূলের আসনসংখ্যা ১০ এর নীচে নেমে গেছে! একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে উনি তোষন করতে করতে এমন জায়গায় চলে গেছেন, যে ওনার পায়ের নীচের মাটি কখন সরে গেছে উনি নিজেই টের পাননি। ওই তরুণ নেতার আরও বক্তব্য, এখন তৃণমূল নেত্রী ভালোভাবে সেটা টের পাচ্ছেন – যখন দেখছেন তাঁর জনসভায় ধরে-বেঁধেও দেড়-দুহাজারের বেশি লোক আনতে পারছেন না। আর অন্যদিকে, আটকানোর অনেক চেষ্টা করা সত্বেও নরেন্দ্র মোদীর সভায় কাতারে-কাতারে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করছেন। তাই ৪২ এ ৪২ তো দূরের কথা, তিনি বুঝে গেছেন এবার বাংলায় তাঁর দিন শেষ। বাংলায় এবার পরিবর্তনের পরিবর্তন হওয়ার পালা, আর তা হবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির হাত ধরে। আর তাই তো ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনলেই এখন তৃণমূল নেত্রীর হৃদকম্প শুরু হয়ে যায়! https://www.youtube.com/watch?v=-0gsK5Arg_I আপনার মতামত জানান -