এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর শক্ত ঘাঁটিতে সংগঠন চাঙ্গা করতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের! বাড়ছে জল্পনা!

শুভেন্দুর শক্ত ঘাঁটিতে সংগঠন চাঙ্গা করতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দলবদল করেছেন যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে পূর্ব, মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তাই এবার বুথের সংগঠনে বাড়তি নজরদারি চালানোর জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লক এবং শহরে জেলা কমিটির দু’জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা তৃনমূল কংগ্রেস।

মূলত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কি সমস্যা রয়েছে, তার ব্যাপারে খোঁজখবর করার প্রধান দায়িত্ব থাকবে এই নেতাদের। আর সেই মোতাবেক নির্বাচনের আগে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের দখলে 15 টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নিজেদের দখলে রাখলেও, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটি চলে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে। আর তারপর থেকেই বিজেপির প্রভাব ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ। “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনসংযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করে ঘাসফুল শিবির। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দুজন করে নেতাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার নতুন কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এর ফলে কি সংগঠন চাঙ্গা করতে পারবে তৃণমূল? একাংশ বলছেন, যে কোনো ক্ষেত্রে অভিযোগ যদি নিচুতলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা খোঁজখবর নিয়ে মিটিয়ে দেয়, তাহলে সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।

প্রশাসনিক বা দলীয় কাজ নিয়ে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে এতদিন সেভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হত না। যার ফলে নেতাদের ওপর অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন কর্মীরা। কিন্তু এবার যদি সরাসরি দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সঠিক জায়গায় সেই সমস্যা পৌঁছে দেয় এবং তার যদি সমাধান করা সম্ভব হয়, তাহলে দলের ভালো হবে বলেই দাবি করছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এখন থেকেই বুথের সংগঠনে যোগ দেওয়া হচ্ছে। ব্লক থেকে বুথ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করবার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্লক এবং শহরের সাংগঠনিক কাজকর্ম ঠিকমত চলছে কিনা, সেই ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নেতারা খোঁজখবর করবেন।”

কিন্তু যারা দায়িত্ব পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে যদি খামতি সামনে আসে, তাহলে কী হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ রয়েছে। কেননা এখন যারা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তারা যদি ঠিকমত খোঁজখবর না নিয়ে প্রকৃত সমস্যার সমাধান না করেন, তাহলে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সব মিলিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৃণমূলের এই অভিনব উদ্যোগ তাদের কতটা সুবিধা করে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!