এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কাছে টানার বদলে শুভেন্দুর ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া অব্যাহত? তৃণমূলের নতুন পদক্ষেপে জল্পনা চরমে

কাছে টানার বদলে শুভেন্দুর ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া অব্যাহত? তৃণমূলের নতুন পদক্ষেপে জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় মুকুল রায়ের সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তখন মুকুল রায় আগেভাগেই খেলা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হতে থাকে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। তারপর একসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন তিনি।

আর মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছিল, এবার কি শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও সেই একই গতিপ্রকৃতি দেখা দিতে শুরু করেছে! বস্তুত, বর্তমানে অরাজনৈতিক সভায় গিয়ে দলের সঙ্গে বেশি করে দূরত্ব তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদে সফর করে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম দিবসে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা করতে দেখা গেছে শুভেন্দুবাবুকে।

আর তার এই অরাজনৈতিক সভা নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, ঠিক তখনই নন্দীগ্রাম এবং মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তিন নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ দুই নেতা আবু তাহের ও মেঘনাদ পালের নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়‌‌। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের নিরাপত্তারক্ষীও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এখন নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন সেখানকার জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মোশারফ হোসেন। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর যে সভা হয়েছিল, তার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন আবু তাহের এবং মেঘনাথ পাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী পৃথকভাবে সভা করছেন, তাতে চাপ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, খুব দ্রুত শুভেন্দু অধিকারী বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর যদি সত্যিই তিনি দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস বড় সমস্যার সম্মুখীন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীর এই সমস্ত সভার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, এবার তাদের বার্তা দিয়ে সেই সমস্ত নেতাদের ডানা ছেঁটে দিতে চাইছে শাসকদল বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু এর ফলে তো শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে! একাংশ বলছেন, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কেন বুঝতে পারছেন না যে, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া আগামী দিনে তাদের পথ চলা অত্যন্ত সমস্যার হয়ে পড়বে। সেদিক থেকে শুভেন্দুবাবুর সভার আয়োজন করা এই সমস্ত নেতাদের যেভাবে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হল, তাতে পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বুঝিয়ে দিতে চাইল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, গোটা রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা কম নেই। তৃণমূলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর সবথেকে বেশি জনপ্রিয় এবং দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তি হিসেবে যিনি পরিচিত, তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় প্রতিটি জেলাতেই তার অনুগামী রয়েছে। তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদলের পর তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে মনে করা হলেও তাকে সেরকম কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। আর এরপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন এই হেভিওয়েট নেতা।

তবে আশা করা হয়েছিল, দ্রুত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তা করা তো দূর অস্ত, উল্টে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক সভা যে সমস্ত নেতারা আয়োজন করেছিলেন, এবার তাদের ডানা ছাটতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। যার ফলে একটা বিষয়ে কার্যত পরিষ্কার যে, শুভেন্দু অধিকারীকে এখন আরও বেশি করে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তাই তার অনুগামীদের নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করার মানুষ নন, তা নন্দীগ্রাম দিবসের সভা থেকেই তার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে বলে দাবি তার অনুগামীদের। সেদিক থেকে শুভেন্দু বাবুর অনুগামী তিন নেতার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার আগামী দিনে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!