এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার করোনা পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্র! এবার “তর্ক” করে প্রমাণ করতে চায় তৃণমূল!

বাংলার করোনা পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্র! এবার “তর্ক” করে প্রমাণ করতে চায় তৃণমূল!

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে গোটা বিশ্বে। যত দিন যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাচ্ছে। তবে প্রথমদিকে বাংলাতে করোনা ভাইরাস সেভাবে ভয়াবহ আকার না নিলেও, বর্তমানে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বাংলার মানুষের কাছে। সরকার সচেতনতা অবলম্বন করলেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার নানা বিষয় তুলে ধরে সরকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজ্যে সঠিকমাত্রায় টেস্ট করা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যু চেপে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা, ঠিক তখনই, কেন রাজ্যে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি হচ্ছে, তার জন্য কারণ স্পষ্ট করতে দেখা গেল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের। যেখানে আশ্চর্যজনকভাবে গোটা বিষয়ে কেন্দ্রের ঘাড়েই দায় চাপালেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে কাকলিদেবী বলেন, “বাংলায় যেটুকু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তার জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র টেস্টিংয়ের জন্য ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে, তার ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই রাজ্যে কিট পাওয়া যায়নি সঠিকমাত্রায়। কেন্দ্র কোনো কিটই দিতে পারেনি।” এদিকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার রাজ্যে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির জন্য যেভাবে কেন্দ্রকে দায়ী করলেন, তা নিয়ে এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন বিজেপির উদ্দেশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, “মর্টালিটি রেট রঞ্জি ম্যাচ নয়। বাংলায় টেস্টিং কম হয়েছে, তার কারণ বাংলায় কিট কম ছিল। কেন্দ্র কিট পাঠায়নি। যদিও বা পাঠাল, তাও আবার ত্রুটিপূর্ণ। প্রয়োজনে এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে ডিবেটে বসুক বিজেপি।” অন্যদিকে লকডাউনের দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে কেন্দ্র ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

একইভাবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একের পর এক লকডাউন বাড়ানোর নিয়েও সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন তিনি বলেন, “কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন ঘোষণা হল। কোনো কল্পনা শক্তি নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। একবারও ভাবল না পরিযায়ী শ্রমিকদের কি হবে! তারা কিভাবে বাড়ি ফিরবে! ভাবল না পড়ুয়াদের কথা, পর্যটকদের কথা। আর গরিবের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। যাদের কাজের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি, কেন্দ্র তাদেরকেই অবহেলা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “একবার বলছে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে, একবার বলছে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্র যখন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, তখন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা করলেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে করোনা মোকাবিলা করা অপেক্ষা শাসক-বিরোধী তরজা যদি লেগে থাকে, তাহলে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হবে।

প্রসঙ্গত, এতদিন করোনায় বাংলার বেহাল দেশের জন্য রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু বাংলার করোনা পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্রই – তা কার্যত প্রমানে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর তাই, এই বিষয়ে ‘ডিবেট’ করতে চাইছেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা। এখন সত্যিই তৃণমূলের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি ডিবেটে বসে, নাকি শাসকদলকে আরও কোনঠাসা করে – সেদিকেই আপাতত নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!