মমতার অনুপ্রেরণায় চন্দ্রিমার “অঞ্জলি”, দুস্থদের হাসি ফোটাতে মহিলা তৃণমূলের বড়সড় পদক্ষেপ! কলকাতা রাজ্য June 2, 2020 করোনা ভাইরাস আটকাতে লকডাউন চলায় দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর কমবেশি প্রতিটা রাজনৈতিক দল। মানুষের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে “মানবহিতৈষী” বলে প্রমাণ করতে মরিয়া শাসক থেকে বিরোধী নেতারা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে সাধারণ মানুষদের নানাভাবে সাহায্য করা হচ্ছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কল্পতরু কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবারের প্যাকেট। আর এবার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে “অঞ্জলি” নামে নতুন এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হল। সূত্রের খবর, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যের প্রায় প্রতিটা জেলায় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নির্দেশে দুঃস্থ মানুষদের সবজি বিতরণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, তিন দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, “গ্রহণ করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমায়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পর এবার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস মানুষের পাশে থেকে তাদের নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় সবজি তুলে দেওয়ার এই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা শুরু করেছে। আর তৃনমূল মহিলা কংগ্রেসের এই উদ্যোগে অনেক দুঃস্থ মানুষদের মুখেই হাসি ফুটবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যে মহিলা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন অঞ্জলী। তার ভাবনাতেই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ শুরু করল। আমাদের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুস্থ মহিলাদের হাতে সবজির প্যাকেট তুলে দিয়ে এই অবস্থায় তাদের পাশে থাকতে বলেছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বর্ধমান জেলার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের জেলায় মূলত শহরগুলোকে এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ সহজেই সবজি সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু শহরের মানুষ তা পেতে সমস্যায় পড়ছেন। দাম বেশি লাগছে। তাই শহরের দুস্থ পরিবারগুলোর হাতে এক সপ্তাহের মত সবজির প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সত্যিই মানুষের মুখে অনেকটাই হাসি ফুটবে। কেননা লকডাউনের এই মুহূর্তে অনেক দুস্থ পরিবার তাদের রুজি রুটি হারিয়ে ফেলেছেন। যার ফলে কিভাবে সংসার চলবে, তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেভাবে জেলায় জেলায় দুস্থ পরিবারের মহিলাদের হাতে সবজির প্যাকেট তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল, তা সত্যিই তৃণমূলকে ভবিষ্যতে অনেকটাই সাফল্য পাইয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -