এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > লকডাউনেও অব্যাহত তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বোমাবাজিতে প্রাণ গেল প্রভাবশালী নেতার!

লকডাউনেও অব্যাহত তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বোমাবাজিতে প্রাণ গেল প্রভাবশালী নেতার!


একদিকে করোনা মোকাবিলা এবং অন্যদিকে আমপান দুর্যোগের মোকাবিলা করতে গিয়ে এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে। বারবার দলের তরফে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার বার্তা দেওয়া হলেও, বীরভূমের সাঁইথিয়ার বলাইচন্ডিপুরে যে ঘটনা ঘটল, তাতে চিন্তা বাড়ছে অনেকের।

সূত্রের খবর, শনিবার সকাল আটটার সময় হঠাৎই এই বলাইচন্ডিপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী শেখ কালু নামে একজন তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে গিয়ে ব্যাপক বোমাবাজি করে। পরপর তিনটি বোমা ছোড়া হলে একটি বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় সেই তৃণমূল কর্মীর। আর এরপরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, মৃত এই তৃণমূল কর্মী তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য। এদিকে এই ঘটনার পরেই কেন হঠাৎ এই তৃণমূল কর্মীকে বোমা মারা হল, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয় প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, শেখ কালুকে যারা বোমা ছুড়ে মেরেছে, তারা তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। মূলত গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণেই এই তৃণমূল কর্মীকে খুন হতে হল। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই জড়িত রয়েছেন। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিজেপির একাংশ বলছেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।

আর বর্তমানে এমনিতেই দুর্যোগ সহ করোনার মত সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে যখন সংকটে গোটা রাজ্য, ঠিক তখনই অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলকে অনেকটাই চাপে রাখবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!