এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উত্থান ভূমিতেই বিদ্রোহ! সব জেনেও চুপ কেন মমতা? প্রশ্ন দলেরই নেতা কর্মীদের, থমথমে তৃণমূল

উত্থান ভূমিতেই বিদ্রোহ! সব জেনেও চুপ কেন মমতা? প্রশ্ন দলেরই নেতা কর্মীদের, থমথমে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক সময় সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামের আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। যে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন বাম সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল, এখন সেই সিঙ্গুর নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের গণআন্দোলনে যে মানুষটি সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং গোটা রাজ্যে যিনি জননেতা হিসেবে পরিচিত, সেই শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলে।

জানা গেছে, একদিকে প্রবীণ মাস্টারমশাই তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বর্তমানে দলের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব তার দলত্যাগের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে দাবি একাংশের। তবে দলের দুর্দিনে যে মানুষগুলো দলকে প্রতিষ্ঠা করার পেছনে লড়াই দিয়েছিলেন, কেন সেই মানুষগুলোর এখন অভিমান করলেও তাদের ক্ষোভ মেটাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পোস্ট হতে দেখা যাচ্ছে।

বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃনমূল কংগ্রেসে যদি কারও জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার পর শুভেন্দুবাবু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন হবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সেই রকম কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর তারপর থেকেই দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে অরাজনৈতিক সভায় উপস্থিত হতে দেখা গেছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

শুধু তাই নয়, যে নন্দীগ্রাম দিবসে প্রতিবছর তৃণমূলের প্রতীক থাকে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকে, সেই নন্দীগ্রাম দিবসে এবার শুভেন্দু অধিকারী ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে উপস্থিত হয়েছেন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকা তো দূরের কথা, উল্টে তার নাম পর্যন্ত নেননি রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। অন্যদিকে সিঙ্গুরেও একই অবস্থা। বিগত দিনের সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন সেখানকার মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দলের কিছু সিদ্ধান্তের জন্য এবং তার অনুগামী মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এখন দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। এমনকি ভবিষ্যতে তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা ভাবছেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রবীণ এই বিধায়ক। আর এরপরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তৃণমূলে যখন একের পর এক মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক বিশেষত তৃণমূলের পরিবর্তনের আঁতুড়ঘরে যেভাবে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তাতে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করছেন না!

ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরবে। আর যদি সেই ভাঙ্গন পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম থেকে শুরু হয়, তাহলে রাজ্যে আর একটা পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত হবে বলে দাবি বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভুলে গেছেন তার অতীতের দিনগুলো!

সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী – এই মানুষগুলো ছাড়া এবং স্থানীয় পটভূমিকা যদি তৈরি না হত, তাহলে কি তৃণমূলের পক্ষে এই সমস্ত জায়গায় আন্দোলন করা সম্ভব হত! বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার সিংহাসন পেলে সমস্ত কিছু ভুলে যেতে পারেন। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তিনি এখন ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করতে ব্যস্ত। তাই পুরনো দিনের লড়াই করা নেতাদের তিনি ভুলে যাচ্ছেন।

তবে বিরোধীদের এই কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামী দিনে এই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে করুণ পরিণতি দেখবার জন্য তৃণমূলকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে নিশ্চিত সমালোচকরা। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ও বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্রোহী নেতাদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!