এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > গোষ্ঠীকোন্দল আটকাতে এবার প্রকাশ্যেই পুলিশে ধরানোর দাওয়াই তৃণমূল যুব নেতার – শুরু তীব্র বিতর্ক

গোষ্ঠীকোন্দল আটকাতে এবার প্রকাশ্যেই পুলিশে ধরানোর দাওয়াই তৃণমূল যুব নেতার – শুরু তীব্র বিতর্ক

নির্বাচনে সফল হওয়ার জন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রথম শর্ত হল মজবুত সংগঠন। আর এই সাংগঠনিক শক্তিকে পোক্ত করতে গেল সবার আগে দরকার দলীয় আভ্যন্তরীন কোন্দলের ইতি টানা। একথা সহযোদ্ধাদের দফায় দফায় বুঝিয়ে এসেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর যবে থেকে ১৯’এর লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে থেকেই নেত্রীর নির্দেশে জেলা এবং রাজ্যস্তরের নেতারাও একই বার্তা দিয়ে আসছেন দলীয় কর্মী এবং নেতাদের। তবে, শুধু বুঝিয়ে যখন কাজ হয়নি তখন শীর্ষ নেতৃত্বদের ধমকও দিতে হয়েছে বারবার। এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার ব্যাপারে বেশ নামডাক রয়েছে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের।

তিনিই সম্প্রতি গোষ্ঠীকোন্দল দমনের জন্য দলীয় কর্মীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কড়া নিদান দিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না সেটাই সাফ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজন হলে দল থেকে বিক্ষুব্ধদের ছাঁটাই করতে বা পুলিশে ধরিয়ে দিতেও পিছপা হবেন না তিনি – এমনটাই হুমকি দিয়েছিলেন।

আর, এবার গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে বীরভূমের এই দাপুটে নেতারই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি মহম্মদ সাদ্দামকে। মেমারি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কমিটি ঘোষণা করতে এসে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ঘোষিত শাখার বিপক্ষে গিয়ে বা বাদ দিয়ে কেউ যদি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার কথা ভাবেন – তাঁদের খুব কড়া ভাষায় বলছি, দরকার পড়লে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দেব”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, দফায় দফায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মেমারি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি একবার ক্ষোভ প্রকাশ করে মেমারি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূলের সমর্থক মেমারি কলেজের এক কর্মী মুকেশ শর্মার বিরুদ্ধে অধ্যাপককে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছিল।

শুধু তাই নয়, ছাত্র সংসদের ছেলেদের গন্ডোগোল পাকানোর জন্যে উসকে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই মুকেশ শর্মাকেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের শহর সভাপতি করার ঘোষণা করলেন মহম্মদ সাদ্দাম। নিজের ঘোষণায় জানালেন, “আমি শহর সভাপতি মুকেশ শর্মাকে নিয়ে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে কলেজ ইউনিটের নাম জমা দিয়ে আসব। বলে আসব, এবার থেকে এরাই পরিচালনা করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাজকর্ম”।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত এই তৃণমূল কলেজ কর্মচারীকে শহর সভাপতি ঘোষণা করায় বেশ গুঞ্জন শুরু হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়ামহলে। মুখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখার কথা বললেও পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির এহেন সিদ্ধান্ত ফের কলেজে নতুন অশান্তির সৃষ্টি করবে বলেই আশঙ্কা অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। এখন থেকেই রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে মেমারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!