এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গেরুয়া ঝড় পুরোপুরি থামিয়ে দিতে এবার গ্রাম হোক বা শহর বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের যুব বাহিনীর

গেরুয়া ঝড় পুরোপুরি থামিয়ে দিতে এবার গ্রাম হোক বা শহর বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের যুব বাহিনীর

যে কোনো দলেই ছাত্র এবং যুবদের সংগঠন শক্তিশালী থাকলে দল যে শক্তিশালী হয়, তা মেনে নেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যব্যাপী ভরাডুবির পর রাজ্যের শাসকদল নিজেদের যুব এবং ছাত্র সংগঠনকে আরও বেশি করে পথে নামাতে শুরু করেছে। সমাজের দুই মেরুদন্ড ছাত্র এবং যুবদের দিয়েই এবার উত্তরবঙ্গে গেরুয়া হাওয়াকে ফিকে করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

বস্তুত, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের শক্ত ভিত হলেও এবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ফুটে গিয়েছে পদ্মফুল। আর এবার সেই পদ্মের বোঁটা ছিড়ে নিতে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গ্রাম এবং শহরের নামানো হচ্ছে যুব বাহিনীকে। তৃণমূলের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি জাতপাতের ভেদাভেদ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবার চেষ্টা করছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার জেলার প্রতিটি বুথে গ্রামীণ এলাকায় 20 জন এবং শহরে 10 জন যুবকদের নিয়ে “জাতীয়তাবাদী জয়বাংলা বাহিনী” তৈরি করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই জাতীয়তাবাদীর জয়বাংলা বাহিনীর কাজ ঠিক কি হবে? জানা গেছে, মূলত শান্তি স্থাপন করা, এলাকায় পাহারা দেওয়া এবং বিজেপির বিরুদ্ধে মূল সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে আন্দোলন করায় এই বাহিনীর মূল কাজ হবে।

পাশাপাশি চলতি মাসে কেন্দ্রের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি শহরে এই যুব বাহিনীদের নামিয়ে বিশাল মিছিল করার কথা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৃণমূল এই নতুন বাহিনী তৈরি করলেও দলীয় স্তরে দুর্নীতি কমাতেও কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ একদিকে নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নানা কর্মসূচি, আর একদিকে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে যাতে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ না তুলতে পারে, সেই ব্যাপারেও সচেতন থাকতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই যুব বাহিনী তৈরি প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিস্তারক কর্মসূচির নামে আরএসএস জলপাইগুড়িতে জাতপাতের বিভেদ তৈরি করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও জানেন, “তাদের রুখতে গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বুথে 20 এবং শহর এলাকায় 10 জন যুব সদস্য নিয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী জয়বাংলা বাহিনী তৈরি করছি। তারা বাংলা সম্প্রীতি নষ্টের প্রচেষ্টাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেবে। ডিসেম্বর মাসে সংবিধানবিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতি সহ এনআরসির বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি শহরে বিশাল মিছিল করা হবে।”

তবে শুধু দলের কর্মসূচি করলেই হবে না, দলে স্বচ্ছতা যে আনতে হবে, এদিন তা জানিয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যাণী। এদিন তিনি বলেন, “স্বচ্ছতাই দলের নীতি। অস্বচ্ছ লোকেদের ঠাই হবে না। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানদের নিয়ে উন্নয়ন কমিটি তৈরি করা হবে। তারা উন্নয়ন কর্মসূচির ওপর নজর রাখবে। রাজ্য স্তরের মনিটরিং সেল প্রতিটি নেতার কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।”

তবে বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, তৃণমূলের পাশে সাধারণ মানুষ নেই। তাই তারা বাহিনীর গল্প মুখে আওড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে জলপাইগুড়িতে বিজেপির হাওয়াকে দমিয়ে দিতে যুব তৃনমূলের এই বাহিনী গঠন আদৌ কাজে দেয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!