এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল বিরোধী শিক্ষকদের ‘বদলির’ কড়া নিদান প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! তীব্র শোরগোল রাজ্যজুড়ে!

তৃণমূল বিরোধী শিক্ষকদের ‘বদলির’ কড়া নিদান প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! তীব্র শোরগোল রাজ্যজুড়ে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী শিবিরের বরাবরই অভিযোগ ছিল, প্রাথমিকে কর্মী নিয়োগে শাসক শিবির ব্যাপক ভাবে দুর্নীতি চালিয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের কর্মীবৃন্দের মধ্যেই আসন ভাগ হয়ে গেছে। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল শিবির বিরোধীদের এই অভিযোগ ক্রমাগত অস্বীকার করে গেছে। কিন্তু এবার বিতর্ক জাগিয়ে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এমন মন্তব্য করলেন, যাতে রাজ্যবাসীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

এদিন কোচবিহারের তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ। যারা তৃণমূলের জন্য চাকরি পেয়ে এখন তৃণমূলেরই বিরোধিতা করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে বদলি করার দাবি জানালেন তিনি। তৃণমূল নেতা আবদুল জলিল আহমেদের বক্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল হইচই।

অন্যদিকে এই সভাতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন উপস্থিত না থাকায় তাঁকেও রীতিমত এই তৃণমূল নেতার ক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এই সভায় আব্দুল জলিল আহমেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, শিক্ষক নেতা নিরঞ্জন দত্ত ও ওই শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি দেবাশীষ কর। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুল জলিল আহমেদ সবার সামনে বলতে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকের জায়গায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অথচ বর্তমানে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনে কোনো লোক নেই। আর এ প্রসঙ্গেই তিনি বদলির কথা বলেন আর তার সাথে মন্তব্য করেন, বদলি শুরু হলে বাকিরা দলে ফিরে আসবে। অন্যদিকে প্রাথমিকের চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে তিনি তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “চেয়ারম্যান হোক আর যত বড় নেতাই হোক, সকলকে দলের নিয়ম মানতে হবে। এই সভায় তাঁর উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।” অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনেকেই একসময় তৃণমূল কর্মী হিসেবে চাকরিতে ঢুকেছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে চাকরি পাওয়ার পর অন্য দলে বা অন্য শিক্ষক সংগঠনে চলে গেছেন অনেকেি। আর সে কথাই এদিন কোচবিহারের তৃণমূল সভায় স্পষ্ট হয়ে উঠল। তবে কেন দল ছেড়ে অন্য সংগঠনে গেছেন কর্মীরা তা নিয়ে অবশ্য দ্বিমত আছে দলের অন্দরেই। অনেকেরই মত, দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অনেকেই ঠিকঠাক ভাবে জায়গা করতে পারেননি দলে। আর তাই তাঁরা চাকরি পাওয়ার পর অন্য দলে বা অন্য সংগঠনে ভিড় করেছেন। কিন্তু এবার তৃণমূল শিবিরের চিন্তা বেড়েছে অন্য জায়গায়। কারণ দলীয় যেসব কর্মীরা অন্য সংগঠনে গেছেন, তাঁরা কেউ কেউ অতিরিক্ত মাত্রায় রাজনৈতিক তৎপরতা দেখাচ্ছেন যা তৃণমূল শিবিরের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন সামনেই। তাই এই নির্বাচনে জয় পেতে গেলে তৃণমূলকে অনেক বেশি সাবধানী এবং সাংগঠনিক হতে হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, যেভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতা প্রাথমিকে বদলি নিয়ে মন্তব্য করলেন তাতে কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক অনিয়ম প্রকাশ হয়ে পড়লো। যথারীতি এই ঘটনা তৃণমূল শিবিরকে যে অস্বস্তির মুখে ফেলবে সেকথা বলাই বাহুল্য। তবে এবার দেখার, তৃণমূল শিবির ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিরোধী শিক্ষকদের বদলির শাস্তি তাঁদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে আনতে পারে কিনা!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!