এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পিকের চালেই কি অ্যাডভ্যান্টেজ তৃণমূলে? আস্তে আস্তে ভোঁতা করে দিচ্ছেন বিজেপির মুকুল অস্ত্র?

পিকের চালেই কি অ্যাডভ্যান্টেজ তৃণমূলে? আস্তে আস্তে ভোঁতা করে দিচ্ছেন বিজেপির মুকুল অস্ত্র?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শেষমেষ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন আদায় করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমল গুরুং প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আর এর ফলে পাহাড় নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের যে আর কোনো মাথাব্যথা রইল না, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

সেইসঙ্গে এই খবরে বিজেপিকে তৃণমূল যে নতুন মাত দিল, সে কথা মনে করছেন অনেকেই। বস্তুত প্রায় এক মাসের চেষ্টায় বিমল গুরুংকে তৃণমূলের দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল শিবির। আর এই কর্মকাণ্ডের পেছনে যে প্রশান্ত কিশোর রয়েছেন, সে কথাই মনে করছেন কূটনৈতিকরা।

কারণ এনডিএকে ফেলে তৃণমূলকে সমর্থন করায় বিজেপি যে নতুন করে সমস্যায় পড়বে, সে কথা জানেন প্রায় সকলেই। তবে এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের কেন এই কার্যকলাপের পিছনে থাকার ব্যাপারে অনুমান করা হচ্ছে, সে বিষয়ে অনুমান করা হচ্ছে কয়েকটি বিষয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথমত, তিন বছর ফেরার থাকার পর বিমল গুরুং কলকাতায় এসে মমতা ব্যানার্জিকে বার্তা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এত বছর লক আউট নোটিশে থাকার পর তিনি কিভাবে কলকাতার রাস্তায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেন এবং তাঁর কলকাতায় আসার মত সাহস হল কি করে, সেই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর এহেন উক্তি যে দলের সাথে গোপন বৈঠক না করে হয়নি, সে কথা বলাই বাহুল্য।

তাই এত কিছু যে প্রশান্ত কিশোর ছাড়া সম্ভব নয়, সেই কথাই বলেছেন কূটনৈতিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন তিনি কলকাতায় এসে মমতাকে বার্তা দিয়ে বলেন, বিজেপি কথা রাখেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি আদর্শ নেত্রী বলে মনে করেন। তাই সামনের বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকেই তিনি সমর্থন করবেন। তিনি চান বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ফিরে এসে হ্যাটট্রিক করে দেখান।

তথ্য সূত্র জানা গেছে, কয়েক মাস আগেই তৃণমূলের সঙ্গে বিমল গুরুং যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। আর এই উপলক্ষে সম্ভবত দিল্লিতেই প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। আর তারপরই বিমল গুরুং কলকাতায় আসার সাহস করে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ব্যাপার যাই হোক না কেন, বিমল গুরুংয়ের একুশের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন এবং এই সব মিলিয়ে এনডিয়ে ছাড়ার কথায় বিজেপি যে লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে, সেকথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

সেই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের এই মোক্ষম চালে তাঁর অঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বী মুকুল রায় তথা বিজেপির কাছে যে এটা একটা অন্যতম বড় ধাক্কা, সেকথা প্রকারান্তরে অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এবার পাহাড়ের রাজনীতি নিজেদের দখলে আনলেও বিজেপি যে নতুন করে ঘুঁটি সাজাবে সেকথাও মনে করছেন অনেকে। তাই রাজ্যের শাসকদলের আপাতত স্বস্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন কূটনীতিকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!